গত বছর বলেছিলেন লাগবে ২১ দিন
তারপর বছর ঘুরে গিয়েছে
করোনার প্রথম তরঙ্গ গিয়ে দ্বিতীয় তরঙ্গ এসে গিয়েছে
এখন করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের বিষয়ে কী বললেন মোদী
গত বছর করোনা মহামারির প্রথম তরঙ্গকে রুখতে প্রথমবার ভারতে ২১দিনের জন্য লকডাউন জারি করা হয়েছিল। সেই সময় কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে এনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২১ দিনে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তারপর বছর ঘুরে গিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গে নাজেহাল অবস্থা ভারতের। এরমধ্যে শুক্রবার নিজ সংসদীয় কেন্দ্র বারানসীর কোভিড পরিস্থিতি ক্ষতিয়ে দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বললেন, কোভিড-এর বিরুদ্ধে এখনও 'দীর্ঘ লড়াই' বাকি।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এদদিন বারানসীর স্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই সময়ই বারাণসীতে করোনা মোকাবিলায় সকল ফ্রন্টলাইন কর্মীর উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি। শহর ও গ্রামে যেভাবে মাইক্রো কনটেইমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে, যেভাবে ঘরে ঘরে ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে, তার প্রশংসা করে এই অনুশীলন আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন মোদী। তারপরই সতর্ক করে মোদী বলেন, 'এখনই শিথিলতার সময় আসেনি। আমাদের এখনও দীর্ঘ লড়াই করতে হবে। বেনারস ও পূর্বাঞ্চলের গ্রামীণ অঞ্চলে আরও বেশি করে মনোযোগ দিতে হবে'।
প্রসঙ্গত, এপ্রিলের শেষে ভারতে দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৪ লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে গত দুই সপ্তাহে সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই কমেছে। আপাতত গড়ে প্রতিদিন আড়াই লক্ষ করে নতুন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে দেশে। যা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ এখন বিায় নেওয়ার পথে। সংক্রমণ শীর্ষ ছুঁয়ে এখন নিম্নগামী। তবে মৃত্যুর হার এখনও কমেনি। এর মধ্য়েই সতর্কতা কমানোর বিষয়ে সতর্ক করলেন মোদী। ২১ দিনের লড়াই জেতা যায়নি। করোনা প্রথম তরঙ্গের পরও সরকারের পক্ষ থেকেও শিথিলতা দেখানো হয়েছিল। এবার আর সেই ভুল যে করবে না সরকার, তা এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেই স্পষ্ট।
তিনি আরও বলেন, কোভিড -১৯-এর দ্বিতীয় তরঙ্গে ভারতকে সুরক্ষা জুগিয়েছে ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিনের সুরক্ষা আছে বলেই, এই সময় দেশের ফ্রন্টলাইন কর্মীরা নিরাপদে জনগণের সেবা করতে পারছেন। টিকার সুরক্ষা আগামীদিনে সকল ভারতবাসীর কাছে পৌঁছে যাবে, বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে সুযোগ এলেই করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়ে উৎসাহ দেন তিনি। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এবং তাঁদের পরিবারবর্গকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে আবেগে কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে এসেছিল প্রধানমন্ত্রীর।