কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বারো সদস্যের জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে আদালত
একে মোদী সরকারের কোভিড মোকাবিলার ব্য়র্থতা বলে দেখাতে চাইছে বিরোধীরা
তবে সত্যি ঘটনা কিছুটা অন্যরকম
সরকারের পক্ষ থেকেই দেওয়া হয় টাস্ক ফোর্স গঠনের প্রস্তাব
শনিবার, সুপ্রিম কোর্ট কোভিড-১৯ মহামারিকালে জনস্বাস্থ্য প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য বারো সদস্যের একটি জাতীয় টাস্ক ফোর্স (NTF) গঠন করেছে। করোনা মোকাবিলায় মোদী সরকার ব্যর্থ বলেই এমন পদক্ষেপ নিতে হয়েছে আদালতকে, এমনটাই বলছে বিরোধীরা। কিন্তু, সত্যিটা কিছুটা অন্যরকম। আসলে বয়ানটা হওয়া উচিত, কেন্দ্রের আবেদন মেনে এই টাস্ক ফোর্স গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট। কারণ, আদালতের কাছে এই কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছিল মোদী সরকারই।
এদিন শুনানি চলাকালীন ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা যে আবেদনপত্র আদালতে জমা দিয়েছিলেন, সেখানেই জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠনের সুপারিশে করা হয়েছিল। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, কোন রাজ্যে কত পরিমাণ অক্সিজেন বরাদ্দ করা দরকার, তা ঠিক করার জন্য এই বিষয়ে একি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা যেতে পারে। এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের ব্যক্তিদের এই কমিটিতে সামিল করা যেতে পারে। কীভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে অক্সিজেন বরাদ্দ করা হবে, তা নির্ধারণের জন্য একটি জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠনের কথাও বলা হয়েছিল।
কেন্দ্রের সেই দাবি মেনেই বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড় এবং এমআর শাহ-এর বেঞ্চ, এদিন ১২ সদস্যের ওই টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। দেশের বিভিন্ন অংশের চিকিত্সা বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকদের এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে থাকবেন কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সচিবরা। আদালত জানিয়েছে, এই টাস্ক ফোর্সের কাজ হবে, বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেন বরাদ্দের বিষয়টি সহজ করা। প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে যে যে ব্যবস্থাগুলি নেওয়া হয়েছে সেইসব পর্যালোচনা করা এবং প্রয়য়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া। সেইসঙ্গে, ভবিষ্যতে এখনকার মতো জরুরী অবস্থা তৈরি হলে যাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।