গভীর জঙ্গলে বাস করে মাত্র ৩৭টি উপজাতী পরিবার। লকডাউনের কারণে বাড়ি থেকে বার হতে পারচ্ছেন না। ফুরিয়ে আসছে সঞ্চিত রসদ। এই খবর পেয়ে আর হাতে হাত গুটিয়ে রেখে বসে থাকতে পারেননি বিধায়ক। এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত কালেক্টরকে সঙ্গে নিয়ে পাড়ি দিলেন দীর্ঘ পথ। জঙ্গলের রাস্তা আর নদী অতিক্রম করে খাবার পৌঁছে দিলেন ৩৭ উপজাতী পরিবারের হাতে।
কেরলের পেরিয়ারের গভীর জঙ্গলে বাস করেন মাত্র ৩৭টি পরিবার। যা পাঠানমাথিয়া জেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে। পাহাড়ি রাস্তা। রয়েছে মীনাচিল নদীও। সেই নদী আর জঙ্গের রাস্তার প্রায় তিন কিলোমিটার পথ খাবারের বোঝা সঙ্গে নিয়েই পায়ে হেঁটেই পৌঁছে গিয়েছিলেন উপজাতীদের গ্রামে।
তবে বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ স্থানীয় সিপিএম বিধায়ক কেইউ জ্ঞানেশ কুমার ও কালেক্টর পিবি নুথ। তাঁরা দুজনেই জানিয়েছেন লকডাউনেও যাতে কেউ অভুক্ত না থাকে তার জন্য কেরল সরকার হ্যান্ড সাপোর্ট কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যার মাধ্যমে খাবার ও ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে। তাই লকডাউনের সময় জঙ্গলে থাকা উপজীতি পরিবারগুলিকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়াই তাঁদের কর্তব্য বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কারণে তাঁদের সঙ্গে লোকসংখ্যা ছিল খুবই কম।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রাজ্য গুলির মধ্যে কেরলের অবস্থা খুবই খারাপ। এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০০। গত ডিসেম্বর থেকেই এই রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের খবর পাওয়া গিয়েছেল। তারপর থেকে একাধিক কর্মসূচি নিয়েও আটকানো যায়নি সংক্রমণ।