লকডাউনেও মিলবে পানীয়, থাকতে হবে চিকিৎসকের সংশাপত্র, নির্দেশ কেরল ও মেঘালয় সরকারের

  • কেরলে চিকিৎসকের সংশাপত্র থাকলে মিলবে পানীয়
  • হোম ডেলিভারির মাধ্যমে পানীয় সরবরাহ মেঘালয়াতে
  • রাতে জারি করা হয় নির্দেশিকা
  • লকডাউনের মধ্যে পানীয় সরবরাহের সিদ্ধান্ত 

লকডাউনের সময় স্তব্ধ ভারতের জনজীবন। বন্ধ দোকানপাট। খোলা হয়নি ছোট থেকে বড় বিপনি। এই অবস্থায়  কেরল আর মেঘালয়াতে মিলবে পানীয়। নির্দেশ দিয়েছে কেরল ও মেঘালয়া সরকার। তবে শর্ত একটাই। যাঁদের কাছে চিকিৎসকের সংশাপত্র রয়েছে তাঁদেরই সরবরাহ করা হবে বিদেশী অথবা দেশীয় পানীয়। 


কেরল সরকারের এই সিদ্ধান্ত আপত্তি জানিয়েছিল স্থানীয় চিকিৎসকদের সংগঠন। কিন্তু সেই আপত্তি অগ্রাহ্য করেই সোমবার গভীর রাতে  চিকিৎসকের সংশাপত্র দেখালেই মদ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে বিজয়ন সরকার। ২১ দিনের লকডাউনের কথা ঘোষণা হওয়ার পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় স্থানীয় সমস্ত দোকান । পানীয়র বন্দোবস্ত করতে না পেরে ইতিমধ্যে কেরলের ৬ যুবক আত্মহত্যা করেছে বলেও দাবি করা হয়েছে। পানীয় সরবরাহ বন্ধ থাকায় মাদকাসক্তদের মধ্যে খুবই হতাশা দেখা যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি সমস্যারও সম্মুখীন হয়েছে তাঁরা। চিকিৎসকের কাছেও যেতে হয়েছে তাদের। অনেককেই ভর্তি থাকতে হচ্ছে নেশামুক্তি কেন্দ্রে। তাই কিছুটা বাধ্য হয়েও লকডাউনের মধ্যে মদ কেনাবেচার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে কেরল সরকার। তবে যাদের অ্যালকোহল ইউড্রোল সিনটমস থাকবে তারাই মদ কিনতে পারবে বলে জানান হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। 

Latest Videos

অনেকটা একই ছবি মাঘালয়াতেও। সেখানেই চিকিৎসকের সংশাপত্র থাকবে তবেই মিলবে প্রয়োজনীয় পানীয়। তবে কেনাবেচা হবে অনলাইনে। ক্রেতার বয়স ২১-এর বেশি হতে হবে। পাসাপাশি আপলোড করতে হয়ে কোনও নথিভুক্ত চিকিৎসকের সংশাপত্রও। বলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে পানীয়। পানীয় বিক্রির জন্য আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত কোনও দোকান খোলা থাকবে না বলেই প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়েছে। 

আরও পড়ুনঃঢাল নেই, তরোয়াল নেই, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যেন নিধিরাম সর্দার ভারতীয় চিকিৎসকরা

আরও পড়ুনঃ করোনা থেকে বাঁচতে অ্যান্টি-ম্যালেয়ার ওষুধ, তাতেই কি মৃত্যু অসমের চিকিৎসকের

কেরলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশী। এই রাজ্যের অধিকাংশ মানুষই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। দুমাসেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কেরল। সেখানে সরকার বাড়িতে বোঝা বইতে না চাওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলেই মনে করা হচ্ছে। অনেকটা একই কারণ মেঘালয়া সরকারও আসক্তদের মদ বিক্রির জন্য হোম ডেলিভারি সিস্টেমে জোর দিয়েছে। এখনও উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে করোনাভাইরাস তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ২। তবুই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মরিয়া মেঘালয়া, অসমসহ সবকটি রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন কার্যকর করতেও যথেষ্ট কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে স্থানীয় প্রাশাসন। 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh
'কুমিল্লা ছেড়ে চলে যা' কুমিল্লায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা! | Bangladesh News |
পুলিশের তৎপরতায় বানচাল ডাকাতির প্ল্যান! গ্রেফতার ২ অপরাধী, চাঞ্চল্য Birbhum-এ
West Bengal-এ জঙ্গিযোগ নিয়ে Mamata Banerjee-কে চরম তুলোধোনা Agnimitra Paul-এর! দেখুন কী বললেন
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন