রাজস্থানেও (Rajasthan) পৌঁছে গেল ওমিক্রন (Omicron), আক্তান্ত ৯। একদিনে ৫ গুণেরও বেশি সংক্রমণ বাড়ল ভারতে।
শনিবার ভারতে নভেল করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্য়াটা ছিল ৪। আর রবিবার রাত সাড়ে আটটার মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়াল ২১। অর্থাৎ, একদিনের মধ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাটা বাড়ল ৫ গুণেরও বেশি! মহারাষ্ট্রে থেকে আরও ৭টি ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনার কথা রিপোর্ট করতে না করতেই, নতুন ৯ টি ওমিক্রন সংক্রমণের খবর এল রাজস্থানের জয়পুর থেকে। এই প্রথম রাজস্থানে করোনাভাইরাসের এই নতুন ভেরিয়েন্টের সন্ধান মিলল।
জয়পুরের আদর্শ নগরে একই পরিবারের নয়জন সদস্য ওমিক্রনের আক্রান্ত বলে সনাক্ত হয়েছেন। অতি সম্প্রতি তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরেছিলেন। এই নয়জনের মধ্যে দুটি শিশুও আছে বলে জানা গিয়েছে। আক্রান্ত সকলকেই জয়পুরের এক হাসপাতালে বিচ্ছিন্নতায় রাখা হয়েছে। নতুন ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, রাজস্থান সরকার নাগৌরের রোহিসা এলাকায় কারফিউ জারি করেছে।
৭ দিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে জয়পুরে ফিরেছিলেন ওই পরিবারের সদস্যরা। তাদের থেকে জয়পুরে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট অনেকের দেহেই ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশাসন খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পেরেছে, বিদেশ থেকে ফিরে ওই পরিবারের সদস্যরা, জয়পুরেই তাঁদের অন্তত ১২ জন আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করেন। ইতিমধ্য়েই তাঁদেরও করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ১২ জনের মধ্যে ৪ জনের ফলাফল এসেছে পজিটিভ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ওই পরিবার এবং তাদের সংস্পর্শে আসা সকলকে কোয়ারেন্টাইন করেছে। তবে, পরিবারের সকলেই টিকা পেয়েছেন এবং তাঁদের কারোরই গুরুতর কোনও উপসর্গ এখনও দেখা যায়নি। তবে, শিশুকন্যা দুইজন টিকা পায়নি। তাই তাদের জন্য উদ্বেগে রয়েছে পরিবার ও স্থানীয় প্রশাসন।
এদিনই মহারাষ্ট্রে কোভিড-১৯'এর নতুন ওমিক্রন রূপান্তরে আরও ৭ সাত জন আক্রান্ত বলে সনাক্ত হয়েছে। মহারাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৪ নভেম্বর নাইজেরিয়া থেকে ফিরে আসা ৪৪ বছর বয়সী এক মহিলা এবং তার পাঁচ আত্মীয় ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত। এই ঘটনাগুলি পিম্পরি চিঞ্চোয়াড় থেকে রিপোর্ট করা হয়েছে। এর সঙ্গে, পুনে শহরের ৪৭ বছর বয়সী একজন ব্যক্তিও কোভিড-১৯'এর ওমিক্রন রূপান্তরে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। শনিবার রাজ্যে কল্যাণ ডম্বিয়ালি পুরসভা এলাকা থেকে রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। সব মিলিয়ে মহারাষ্ট্র থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৮ টি ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে।