করোনভাইরাস রুখতে চাই ইতিবাচক চিন্তা
তাই পজিটিভিটি আনলিমিটেড নামে এক অনুষ্ঠান করছে আরএসএস
সেখানে বক্তৃতা দিলেন মোহন ভাগবৎ
করোনভাইরাস দ্বিতীয় তরঙ্গের জন্য সরকার ও জনসাধারণ - দুই তরফকেই দায়ী করলেন তিনি
করোনভাইরাস রোগের প্রথম তরঙ্গের পর, সতর্কতা কমিয়েছিল দুই তরফই - সরকারও এবং জনসাধারণও। শনিবার এমনটাই বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, দুই তরফেই করোনাকে অবজ্ঞা করার ফলেই ভারতের বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে নাগরিকদের একে অপরের দিকে আঙ্গুল তোলার পরিবর্তে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং একটি দল হিসাবে কাজ করাটাই উচিত বলে জানিয়েছে আরএসএস-এর সরসংঘচালক।
করোনা মহামারির সময়ে মানুষের মনে ইতিবাচক মনোভাবের উন্মেষ ঘটানোর লক্ষ্যে আরএসএস-এর পক্ষ থেকে 'পজিটিভিটি আনলিমিটেড' নামে একটি ইন্টারনেট বক্তৃতা সিরিজ করা হচ্ছে। সেই সিরিজের অংশ হিসাবেই এদিন ভাষণ দেন মোবন ভাগবত। তিনি বলেন, ডাক্তারদের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ আসতে পারে। কিন্তু, সরকার, প্রশাসন বা জনগণ - সকলেই করোনার প্রথম তরঙ্গের পর সতর্কতা কমিয়ে দিয়েছিল। কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য তৃতীয় তরঙ্গ আসার বিষয়ে মানুষের ভয় পাওয়া উচিত নয়, বলে জানিয়েছেন মোহন ভাগবত। বরং তিনি বলেন,'বর্তমান পরিস্থিতিতে কোভিডকে নেতিবাচক রাখতে আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।'
ভারতের বর্তমান পরিস্থিতিকে আরএসএস প্রধান তুলনা করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালীন ইংল্যান্ডের সঙ্গে। তিনি জানান, আপাতদৃষ্টিতে ইংল্যান্ডের জয়ের কোনও আশা ছিল না। কিন্তু, তারপরেও সেই সময়ের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের ডেস্কে একটি উক্তি লেখা ছিল, 'এই কার্যালয়ে কোনও হতাশাবোধ নেই। আমরা পরাজয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আগ্রহী নই। তার কোনও অস্তিত্বই নেই।' মোহন ভাগবত বলেন, একইভাবে, আমাদের দেশেও বর্তমানে করোনভাইরাস পরিস্থিতি প্রায় সেইরকমই। কিন্তু, সাহস হারালে চলবে না। আমাদেরও ব্রিটিশদের মতো দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।