লকডাউনেও 'কর্তব্যে গাফিলতি', পুকুরপাড়ে মাছ ধরে সময় কাটালেন অতিরিক্ত জেলাশাসক

  • করোনা মোকাবিলায় প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে
  • লকডাউন সফল করতে পথে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং
  • মাছ ধরে সময় কাটালেন অতিরিক্ত জেলাশাসক
  • বিতর্ক তুঙ্গে রায়গঞ্জে
     

Tanumoy Ghoshal | Published : Mar 29, 2020 9:47 AM IST / Updated: Mar 29 2020, 03:22 PM IST

করোনা মোকাবিলায় এখন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি রাজ্যে। মানুষকে সচেতন করতে যখন পথে নেমেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন পড়ন্ত বিকেলে সরকারি পুকুরে মাছ ধরে সময় কাটালেন পদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকরা! ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ।

আরও পড়ুন: লকডাউনে ভীড় কমাতে বাজার নামল মাঠে, সবজি নিয়ে মেদিনীপুরের রাস্তায় কৃষি বিপণন দপ্তর

করোনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজ্যের সর্বত্রই। কিন্তু সচেতনতার অভাব বিপদ ডেকে আনবে না তো? লকডাউন উপেক্ষা করে এখনও রাস্তা বেরোচ্ছেন অনেকেই। প্রতিদিন শ'য়ে শ'য়ে মানুষ ভিড় করছেন বাজারে। আড্ডার আসর বসছে পাড়ায় চায়ে দোকানেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সংক্রমণ ঠেকাতে শনিবার জলের ট্যাঙ্কে ফিনাইল ও স্যানিটাইজার মিশিয়ে স্পে করে রায়গঞ্জের মোহনবাটি বাজারে স্প্রে করেছে দমকল। লকডাউন সফল করতে বিক্রেতাদের কাছে দোকান বন্ধ রাখার আবেদন করেছেন জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। এই যখন পরিস্থিতি, তখনই কিনা খোদ জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক কন্ট্রোলরুমের দায়িত্ব ছেড়ে ছিপ হাতে হাজির হলেন পুকুরপাড়ে!

আরও পড়ুন: লকডাউন সফল করতে প্রশাসনের তরফে বাজার বন্ধের আবেদন, রীতিমত চিন্তায় রায়গঞ্জবাসী

কী ব্যাপার? উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর রায়গঞ্জ শহর থেকে কিছুটা দূরে কর্ণজোড়া এলাকায়। সরকারি পুকুরটি পুলিশ ফাঁড়ির একেবারেই লাগোয়া। রাস্তায় সরকারি গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে শনিবার বিকেলে সেই পুকুরে মাছ ধরে ধরতে দেখা গেল জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক মৃদুল হালদার ও জেলা পরিষদের অতিরিক্ত এগজিকিউটিভ অফিসার প্রদীপ বিশ্বাসকে! ধরা পড়ে যাওয়ায় দৃশ্যতই বিড়ম্বনায় পড়ে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক। তড়িঘড়ি এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তবে জেলার পরিষদের আধিকারিকের অবশ্য় কোনও হেলদোল ছিল না। তাঁর সাফাই, 'এটা আমাদেরই পুকুর। আমরা কাজ করে এসে সরকারি পুকুরে মাছ ধরছি। পাশেই আমাদের কন্ট্রোল রুম।' কিন্তু ঘটনা হল, যে পুকুরে মাছ ধরা  হচ্ছিল, সেখান থেকে কন্ট্রোলরুমের দূরত্ব কমপক্ষে ৫০০ মিটার। তার থেকেও বড় কথা, রাজ্যে  আপদকালীন পরিস্থিতিতে কী সরকারি গাড়ি আটকে রেখে মাছ ধরা যায়? প্রশ্ন উঠেছে।

 

Share this article
click me!