এশিয়ায় প্রথম নজির আরজি কর হাসপাতালের, কোভিডে প্রয়াত ব্রজ রায়ের হল প্যাথলজিক্যাল অটোপ্সি

  • করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন ব্রজ রায়
  • মরণোত্তর দেহ দান আন্দোলনের পথিকৃত ছিলেন তিনি 
  • তার দেহ কোনও কাজে লাগবে না ভেবে মনক্ষুন্ন ছিলেন সঙ্গীরা
  • প্যাথলজিক্যাল অটোপ্সি করে ইতিহাস তৈরি করল আরজি কর হাসপাতাল
     

Asianet News Bangla | Published : May 14, 2021 5:14 PM IST / Updated: May 14 2021, 10:46 PM IST

বাংলা তথা ভারতের অঙ্গ দান বা মরণোত্তর দেহ দান আন্দোলনের পথপ্রদর্শক ছিলেন প্রয়াত ব্রজ রায়। তার প্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়েই অঙ্গদানে বা দেহদানে একের পর এক নজির সৃষ্টি হয়েছে। নয়া গতি পেয়েছে এই মহৎ কাজ। কিন্তু বিশ্ব অতিমারী করোনা ভাইরাস রেহাই দেয়নি ব্রজ রায়কেও। বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু ব্রজ রায়ের। কিন্তু যিনি পশ্চিমবঙ্গে মরণোত্তর দেহ দান আন্দোলনের পথিকৃৎ তাঁর দেহই কোনও কাজ লাগবে না তা নিয়ে একটু মনক্ষুন্ন ছিল ব্রজর সঙ্গী ও পরিবারের সদস্যদের।

অবশেষে আশঙ্কার সেই কালো মেঘ দূর করে নয়া ইতিহাস সৃষ্টি কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এশিয়ায় প্রথম করোনা আক্রান্তের 'প্যাথলজিক্যাল অটোপ্সি' বা চিকিৎসা বিষয়ক ময়নাতদন্ত হল বাংলার এই হাসপাতালেই। আর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে থেকে আরও একবার ইতিহাসের পাতায় নাম তুললেন ব্রজ রায়। শুক্রবার দুপু ২টোয় আরজি কর হাকসপাতালে শুরু হয় এই ময়না তদন্তের প্রক্রিয়া। চিকিৎসকরা মতে এই ময়না তদন্তের রিপোর্ট ভবিষ্যতে কাজে লাগবে করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসার গবেষণায়। যা নানা দিক উন্মোচন করতে পারে।

এছাড়া চিকিৎসরা জানাচ্ছে 'প্যাথলজিক্যাল অটোপ্সি' প্রয়াত ব্রজ রায়ের বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল,  কোন কোন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কোষে কী কী পরিবর্তন হয়েছি, কতটা প্রভাব পড়েছে শরীরে।  সেই বিস্তারিত বিষয় জানতে এক ঘণ্টার ময়নাতদন্তের পর কোষ সংগ্রহ করেছেন চিকিৎসকরা। ফলে ব্রজ রায়ের প্রয়াণের পর যে কারণে কিছুটা হলেও মন খারাপ ছিল পরিবার ও সঙ্গীদের, অবশেষে তাঁর দেহও কাজে লাগল চিকিৎসা বিজ্ঞানের।

Share this article
click me!