করোনাকালে কোভিড পজেটিভ মৃতদেহ সৎকারের জন্য একমাত্র ভরসা বারাকপুরের রানী রাসমনির শ্মশান ঘাট। এই শ্মশান ঘাটেই বারাকপুর,পলতা হাবরা, আমডাঙ্গা, অশোকনগর, বারাসাত, খড়দহ, পানিহাটির মতো বিভিন্ন এলাকা থেকে করোনায় মৃতদের পরিবার আসেন সৎকারের জন্য।
কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে ৭ই মে থেকে। বারাকপুর মিলিটারি বেস হসপিটাল থেকে এক রোগীর মৃতদেহ সৎকারের জন্য এই শ্মশানে নিয়ে আসা হয়। মৃত রোগীর বুকে পেসমেকার বসানো ছিল, এই তথ্য অজানা ছিল শ্মশান কর্তৃপক্ষের। এমনকী সৎকার করতে আসা মৃতের আত্মীয়-পরিজনরাও বিষয়টি শ্মশানে উপস্থিত থাকা কর্মীদের জানাননি। চুল্লিতে মৃতদেহ ঢোকানো মাত্রই পেসমেকার ফেটে যায়। সঙ্গে সঙ্গে খারাপ হয়ে যায় চুল্লিটি।
তারপর থেকেই রানী রাসমণি ঘাট শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার বন্ধ করে দেয় বারাকপুর পৌরসভা। এ বিষয়ে বারাকপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস জানান করোনা পরিস্থিতিতে সৎকার বন্ধ করে দেওয়ায় রীতিমত সমস্যায় পড়েছেন মানুষ। তাঁদের সেই অসুবিধার কথা বিবেচনা করে পৌরসভা দ্রুত গতিতে কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মানুষের জন্য পুনরায় চালু হবে বারাকপুরের রানী রাসমণি শ্মশানঘাট।