মাটির তলা থেকে উদ্ধার শিকারের সরঞ্জাম, গন্ডার চোরাচালানকান্ডে বড় সাফল্য বনদফতরের

  • গন্ডার চোরাচালান কান্ডে বড়সড় সাফল্য
  • গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান বন দফতরের
  • উদ্ধার রাইফেল, তাজা কার্তুজ
  • গ্রেফতার পরিমল বর্মণ নামের এক ব্যক্তি 

debojyoti AN | Published : May 14, 2021 12:58 PM IST

গন্ডার চোরাচালান কান্ডে বড়সড় সাফল্য পেল বন দফতর। বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে আলিপুরদুয়ারের বনচুকামারি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দু'টি পয়েন্ট ৩১৫ রাইফেল, তিনটি সাইলেন্সার ও কুড়ি রাউন্ড তাজা কার্তুজ। গ্রেফতার করা হয়েছে পরিমল বর্মণ নামের এক ব্যক্তিকে। 

বন দফতরের দাবি ওই বন্দুক দিয়েই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের চিলাপাতা রেঞ্জের বানিয়া বিটের একটি এক শৃঙ্গ মাদী গন্ডারকে হত্যা করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে মনিপুর থেকে গত ৫ এপ্রিল তিনজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ধৃতদের বয়ানের ভিত্তিতেই বনকর্তারা জানতে পারেন যে ছয় সদস্যের ওই চোরাশিকারির দলটিকে আশ্রয় দিয়েছিল ধৃত পরিমল বর্মণ। ওই অভিযুক্তের বাড়ির পাশের বাঁশ বাগানে মাটির তলায় প্লাস্টিকে মুড়ে পুঁতে রাখা হয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র ও শিকারে ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলি। 

তদন্তে জানা গিয়েছে একেবারেই পরিকল্পিত ভাবে একের পর এক গন্ডার হত্যার ছক কষে জলদাপাড়ার পাশের বনচুকামারি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চোরা শিকারিরা দলটি। তবে গন্ডার হত্যার দেড় মাসের মধ্যেই রাইফেল দু'টি উদ্ধার করতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন বনকর্তারা। 

বৃহস্পতিবার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণী সহায়ক দেবদর্শন রায়ের নেতৃত্বে গ্রেফতার করা হয় পরিমল বর্মণকে। শুক্রবার ধৃত পরিমল বর্মনকে আলিপুরদুয়ার অতিরিক্ত জেলা আদালতে পেশ করে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে বন দফতর। বিচারক সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। 

বন আধিকারিকদের মতে গন্ডার হত্যার তদন্তে নেমে এটি একটি বড় সাফল্য। যে ভাবে ছক কষে আগ্নেয়াস্ত্রগুলো মজুত করা হয়েছিল, তাতে ভবিষ্যতে চোরা শিকারির দলটির আরও গন্ডার নিধনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছেন না কেউই। তাদের আশা, খুব দ্রুত গন্ডার হত্যার মাস্টার মাইন্ড বন দফতরের  জালে ধরা পড়বে।

Share this article
click me!