Coronavirus Lockdown - শীাত আসতেই ফের বাড়ছে করোনা, টিকাকরণের পরও ফের লকডাউন এই দেশে


শীত আসতেই নতুন করোনা সংক্রমণের তরঙ্গের উত্থান ঘটছে ইউরোপের (Europe) দেশগুলিতে। অস্ট্রিয়ার (Austria) ফের জারি হতে পারে সম্পূর্ণ করোনভাইরাস লকডাউনের (Coronavirus Lockdown)।

amartya lahiri | Published : Nov 19, 2021 8:10 PM IST / Updated: Nov 20 2021, 02:09 AM IST

'উইন্টার ইজ কামিং'। 'গেম অব থ্রোন্স' টিভি সিরিজের জনপ্রিয় সংলাপ। না কোনও কাল্পনিক ভয় নয়, ইউরোপের (Europe) জন্য় গত দুই বছর ধরে সত্যিই শীতকাল হয়ে উঠেছে আতঙ্কের। কারণ বাতাস শীতল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপে ফের বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। আর অবস্থা যে দিকে এগোচ্ছে তাতে অনেক দেশই সংক্রমণের একটি নতুন তরঙ্গের মোকাবিলায় ফের সম্পূর্ণ করোনভাইরাস লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) পথে হাঁটতে হতে পারে। আর এই তালিকায় প্রথম নাম রয়েছে পশ্চিম ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ার (Austria)। 

অস্ট্রিয়ার জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কোভিড-১৯'এর টিকার (Covid-19 Vaccine) সম্পূর্ণ ডোজ পেয়েছেন। তবে , তা পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে বলতে গেলে শতাংশ হিসাবে সর্বনিম্ন। আর শুধু টিকাদানের হার কম তাইই নয়, গোটা ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে এই মহূর্তে অস্ট্রিয়াতেই সংক্রমণও বাড়ছে সর্বোচ্চ গতিতে। গত ৭ দিনে প্রতি ১,০০,০০০ মানুষের মধ্যে ৯৯১ জন কোভিড আক্রান্ত বলে সনাক্ত হয়েছেন। 

এই অবস্থায় চলতি সপ্তাহেই  অস্ট্রিয়া, এখনও যারা টিকা নেয়নি, তাদের জন্য নতুন করে দেশে লকডাউন জারি করেছে। কিন্তু তারপরও সংক্রমণের হার কমানো যায়নি, বরং নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হয়ে চলেছে। সবথেকে খারাপ অবস্থা সেই দেশের সালজবার্গ (Salzburg) এবং আপার অস্ট্রিয়া (Upper Austria) - এই দুই প্রদেশের। বৃহস্পতিবার দুই প্রদেশের সরকারই বলেছে, তারা তাদের প্রদেশে আলাদা করে লকডাউন জারি করবে। জাতীয় স্তরেই লকডাউন জারি করার বিষয়ে দেশের সরকারকে, এভাবেই তারা চাপ দিতে চাইছে। 

এদিকে জাতীয় স্তরে লকডাউন জারি করা নিয়ে, সেই দেশের রক্ষণশীল দলের (Conservatives) সরকার এবং তাদের শরিক দল, বামপন্থী গ্রিনস পার্টির (Greens) মধ্যে ফাটল আরও গভীরতর করেছে। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রিনস পার্টির উলফগ্যাং মুকস্টাইন (Wolfgang Mueckstein) নাইট কারফিউ জারি করার আহ্বান জানালেও, কয়েকদিন আগে পর্যন্তও অস্ট্রিয়ান চ্যান্সেলর, রক্ষণশীল দলের আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ (Alexander Schallenberg), বলেছিলেন টিকা যারা নেয়নি, তাদের উপর তিনি অতিরিক্ত বিধিনিষেধ আরোপ করতে চান না। 

এখন অবশ্য পরিবর্তিত পরিস্তিতিতে তিনিও বলছেন, যথেষ্ট সংখ্যক লোককে তাঁরা টিকা নেওয়ার জন্য বোঝাতে পারেননি। আর তার জন্যই টিকা যারা নেননি, তাদের জন্য চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে লকডাউন শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, সংক্রমণের আরও একটি তরঙ্গের উত্থান আটকাতে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশের সকলের টিকা নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে, ফের সম্পূর্ণ লকডাউনের রাস্তায় হাঁটতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, 'বেদনাদায়ক হলেও এই ধরনের ব্যবস্থা এখনও নিতে হবে'।

তবে শুধু অস্ট্রিয়া নয়, যত শীত এগিয়ে আসছে, ততই ইউরোপ জুড়ে বিভিন্ন দেশের সরকারগুলি, ফের লকডাউন দারি করার কথা ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। নেদারল্যান্ডসেও (Netherlands) ইতিমধ্যেই ফের একটি আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে। সেই দেশের, বার এবং রেস্তোঁরাগুলি এখন রাত ৮ টায় বন্ধ করে দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আরও অনেক দেশই একই দিকে এগোচ্ছে। কাজেই, টিকা আসার পর প্রায় বছর ঘুরতে চললেও, করোনার করাল ছায়া থেকে পৃথিবী যে পুরোপুরি মুক্ত হয়নি, তা একেবারে স্পষ্ট। 

Share this article
click me!