Imran Khan-ইমরান খানের সময় কী শেষের পথে, এবার বিরোধিতায় পাকিস্তানি মিডিয়া

একটি প্রথমসারির সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে পরিষ্কার ভাষায় লেখা হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজের দায়িত্ব পালনে ও প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ। তাঁর আমলে পাকিস্তান ধীরে ধীরে নিজের ভবিষ্যতও হারিয়ে ফেলছে। 

Parna Sengupta | Published : Nov 18, 2021 4:23 PM IST

ইমরান খানের হাতে কি সত্যিই আর সময় নেই। পাকিস্তানি (Pakistan) সংবাদপত্রগুলিতে যেভাবে পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা শুরু হয়েছে, তাতে এই কথাই স্পষ্ট হচ্ছে। একটি প্রথমসারির সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে (editorial in Pak vernacular media) পরিষ্কার ভাষায় লেখা হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Prime Minister Imran Khan) নিজের দায়িত্ব পালনে ও প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ। তাঁর আমলে পাকিস্তান ধীরে ধীরে নিজের ভবিষ্যতও হারিয়ে ফেলছে। 

সম্পাদকীয়তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে "পাকিস্তানের গর্বাচেভ" বলে অভিহিত করেছে। উল্লেখ্য এই গর্বাচেভ হলেন একজন রাশিয়ান নেতা যিনি আশির দশকের শেষের দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিচ্ছেদ প্রত্যক্ষ করেছিলেন। গর্বাচেভকে এমন একজন নেতা হিসাবে মানুষ দেখেছিল, যিনি প্রয়োজনীয় সবরকম সংস্কার এনে দেশকে অন্য খাতে নিয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু তা না করে একের পর এক সিদ্ধান্তে দেশের অধঃপতন দেখেছিলেন। 

Narendra Modi-ব্যাঙ্কিং সেক্টরকে নয়া দিশা দেখিয়েছে কেন্দ্র, দাবি মোদীর

Climate Summit-জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতায় ২১টি দেশ, কোন প্রশ্নে এককাট্টা ভারত-চিন

পাক প্রধানমন্ত্রীকে একজন "বড় বক্তা" এবং "একজন নেতা যিনি প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন" বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, পাকিস্তান আশির দশকের রাশিয়ার মতো একই পথে হাঁটছে। কারণ ইমরান খান ক্রমাগত জনগণের আশা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছেন। 

এই সম্পাদকীয়তে দাবি করা হয়েছে বিশ্ব পাকিস্তানকে বিশ্বাস করছে বলে মনে হচ্ছে না। পাক নেতারা যখন বিদেশে যান, তখন তাদের নগ্ন অবস্থায় তল্লাশি করা হয়, যা দেশের জন্য লজ্জার। সংবাদপত্রটি আরও দাবি করেছে ইমরান খান যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন তিনি নতুন পাকিস্তান, দুর্নীতিমুক্ত পাকিস্তানের মতো বিষয়গুলির কথা বলেছিলেন, কিন্তু এরপর যা হয়েছে তা পাকিস্তানের জনগণের সামনে রয়েছে। 

ওই সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে পার্লামেন্টের অধিবেশনে ইমরান খানের এমন নগণ্য উপস্থিতি এবং বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে তার অনিচ্ছাও প্রমাণ করে যে তিনি আদৌ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশ্বাসী নন। সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে, বিরোধী দলগুলোও নির্বাচনী সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য আলোচনা না করে সংসদের যৌথ অধিবেশন আহ্বান করার জন্য ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারের নিন্দা করেছে।

এদিকে, দিন কয়েক আগেই প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানা যায় পাকিস্তান সেনা ও পাক সরকারের মধ্যে বাড়ছে দ্বন্দ্ব। আর এই দুইয়ের চাপে নাজেহাল দশা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। তারওপর রয়েছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের খবরদারি। সবমিলিয়ে জলে কুমীর ডাঙায় বাঘ দশা ইমরানের। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এরপরে হয়ত পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনও রাস্তা খোলা থাকবে না পাক প্রধানমন্ত্রীর সামনে। সূত্রের খবর আইএসআইয়ের উস্কানি পেয়ে এখন পাক সেনা চাইছে পদ থেকে সরে দাঁড়ান ইমরান খান। 

Share this article
click me!