ঘরে-বাইরে করোনা-বিপদ, দিশাহীন অবস্থা কাজাকস্থানে ৩০০ ভারতীয় মেডিক্যাল পড়ুয়ার

  • কাজাকস্থানের বিমান বন্দরে আটকে ৩০০ পড়ুয়া
  • ৩০০ ভারতীয় মেডিক্যাল পড়ুয়ার কাছে কোনও খাবার নেই
  • রীতিমত আশঙ্কায় দিন কাটছে তাঁদের
  • বিমান চলাচলের অপেক্ষায় করে রয়েছেন তাঁরা

Asianet News Bangla | Published : Mar 23, 2020 2:11 PM IST

ঘরে বাইরে উভয় সংকটে ওরা। কী কবরবেন?কোথায় যাবেন ? সবমিলিয়ে প্রায় দিশাহীন অবস্থা ওঁদের।ওরা ভারতীয় পড়ুয়া। সংখ্যায় ওঁরা তিনশো জন। সকলেই মেডিক্যাল ছাত্র। বর্তমানে ওঁদের ঠিকানা বিমান বন্দর। ওঁরা আটকে রয়েছে কাজাকস্থানের বিমান বন্দরে। বিমান বন্দরেই কাটছে রাতদিন। ঘরে ফেরার জন্য একটা বিমানের অপক্ষ্যেয় ওঁরা প্রায় হত্যা দিয়ে পড়ে রয়েছেন। চলতি সপ্তাহে ভারত সমস্ত রকম আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। আগামী ৩১ মার্চের আগে কোনও পরিষেবাই চালু হবে হবে না। অন্যদিকে কাজাকস্থানে চলছে লকডাউন। সমস্ত রকম যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই বিমান বন্দর থেকে বেরিয়ে অন্যত্র কোনও আশ্রয়ের সন্ধানেও ওঁরা যেতে পারছেন না। করোনাভাইরাসের ত্রাসে রীতিমত সংকটে ৩০০ ভারতীয় পড়ুয়ার জীবন। 

এক ছাত্র জানিয়েছে প্রথম কাজাক সরকার আলমাটিতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তখনই তাঁরা ভয় পয়েগিয়েছিলেন। কারণ সেই সময় থেকেই স্থানীয় কাজাকবাসিন্দারা ভারতীয় ছাত্রদের আশ্রয় দিতে রাজি হচ্ছিল না। মুদির দোকানে গিয়ে খাবরও পায়নি তাঁরা। এই অবস্থায় প্রায় বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে  ১৫ ঘণ্টার ট্রেন সফর করে তাঁরা চলে আসে বিমান বন্দরে। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। বিমান বন্দরের কর্মীরা তাঁদের স্যানিটাইজার, মাস্ক দিতে রাজি হয়নি বলেই অভিযোগ। পরে স্থানীয় প্রশানের তৎপরতায় করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল কিট তাঁরা পেয়েছেন। কিন্তু  বিমান বন্দরে এসেই তাঁরা জানতে পারেন ভারত বন্ধ করে দিয়েছে সমস্ত আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা।  এক ছাত্র জানিয়েছেন এই পরিস্থিতিতে অনেকেই দেশে ফিরে যেতে চাইছে। কিন্তু কাজাকস্থানে সমস্ত যান চলাচল নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা আটকে পড়েছে। 

বর্তমানে কিছুটা অসহায় অবস্থায় তাঁদের দিন কাটছে। খাবার নেই। নেই জল। বাড়ি ফিরতে চেয়ে উন্মুখ ৩০০ ছাত্র। কোনও রকমে কাটছে দিন।এই অবস্থায় ভারতীয় দূতাবাসের কাছেও সাহায্যের আর্জি জানানো হয়েছিল। গত ২১ মার্চ একটি ট্যুইট করে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের অফিস থেকে জানান হয়েছে, বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই অতিরিক্ত বিমান চালানো সম্ভব নয়। পরবর্তী বিমানের জন্য বিমান বন্দরে অপেক্ষা করা অথবা হোস্টেলে ফিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্যকোনও পথ খোলা নেই বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আটকে পড়া পড়ুয়াদের। এদিকে ভারতেও আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ ছাড়়িয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক উড়ানের সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবাও। 

Share this article
click me!