Doctor's Meet: করোনা রোধে মনোক্লোনাল থেরাপি সমাধান নয়, বার্তা শহরের চিকিৎসকদের

মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ওমিক্রনের চিকিৎসায় খুব একটা কার্যকর নয়। এই দুই পদ্ধতি ঠিক কোন ধরনের করোনা রোগী ও কোন বয়সের রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে স্পষ্টভাবে কোনও উল্লেখ করা নেই।

Parna Sengupta | Published : Jan 4, 2022 2:04 PM IST

করোনার চিকিৎসার (Corona Treatment) থেকে মলনুপিরাভির (Molnupiravir)  বা মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি (monoclonal Cocktail Therapy) কোনও সমাধান (Solution) হতে পারে না। এমনই দাবি শহরের চিকিৎসকদের (Doctors)। তাঁরা বলছেন মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ওমিক্রনের চিকিৎসায় খুব একটা কার্যকর নয়। এই দুই পদ্ধতি ঠিক কোন ধরনের করোনা রোগী ও কোন বয়সের রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে স্পষ্টভাবে কোনও উল্লেখ করা নেই। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, শুধুমাত্র বেরসকারি হাসপাতালগুলিকে মুনাফা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই এই দুই পদ্ধতিকে প্রোটোকলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। আর সৌরভ গাঙ্গুলি উডল্যান্ডসে ভর্তি হওয়ার পরই বিষয়টি আলোচনার মধ্যে চলে আসে।

মলনুপিরাভির কী?

মলনুপিরাভির (MK-4482, EIDD 2801), ইনফ্লুয়েজ্ঞা চিকিৎসার জন্য প্রথামিকভাবে এটি তৈরি করা হয়েছিল। কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য এজাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। সার্স কভ-২ এর প্রতিলিপিতে এটি হস্তক্ষেপ করতে সক্ষম হয়। এর ফলে রোগের তীব্রতা হ্রাস পায়। এটি সবথেকে কার্যকর প্রথম দিকে। যখন কোনও মানুষ প্রথম অসুস্থ হতে শুরু করে। করোনার উপসর্গ দেওয়া দেওযার পরেই দ্রুত কোভিড টেস্ট করিয়ে যদি তা পজেটিভ হয় তবে এজাতীয় ওষুধ ব্যবহারের সুপারিশ করেছে ব্রিটেন। উপসর্গ দেখা দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে এই ওষুধ ব্য়বহারের সুপারিশ করেছে। 

তবে মঙ্গলবার করোনার চিকিৎসার থেকে মলনুপিরাভির বা মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপিকে বাদ দিল স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)। এগুলিতে অনুমোদন দেওয়ার ৭২ ঘণ্টা পরই সিদ্ধান্ত বদল করলেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা। রাজ্যের চিকিৎসা প্রোটোকলে মলনুপিরাভির বা মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপির উল্লেখ ছিল না।

রাজ্যের চিকিৎসা প্রোটোকলে না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মলনুপিরাভির বা মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের দেওয়া হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন একাধিক চিকিৎসক। তারপরই তড়িঘড়ি ৩১ ডিসেম্বর তড়িঘড়ি রাজ্যের চিকিৎসা প্রোটোকলে এই দুই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। যদিও এই দুই পদ্ধতি অনেক আগে থেকেই প্রয়োগ করা হচ্ছিল বলে জানান স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। 

আগে নাকি অনেকের শরীরেই এর প্রয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু, সেগুলিকে কখনও রাজ্যের চিকিৎসা প্রোটোকলের আকারে প্রকাশ করা হয়নি। আর বিতর্ক তৈরি হতেই তা তড়িঘড়ি প্রোটোকলের আকারে বের করা হয় বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের। একদিকে চিকিৎসকরা প্রাণপণে সতর্ক করছেন, অন্যদিকে মানুষ ও প্রশাসন অসাবধানতার একের পর এক রাস্তা নিজেরাই তৈরি করে নিচ্ছে, এটা চলতে পারে না। এসএসকেএম হাসপাতালে সাংবাদিক বৈঠকের সময় এই ভাষাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন চিকিৎসকরা। 

Share this article
click me!