দেশ জুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ। বিপর্যস্ত জনজীবন। একাধিক রাজ্যে চলছে লকডাউন। এই রাজ্যেও এই মুহূর্তে কার্যত ১৫ দিনের লকডাউন চলছে। তবে তারই মাঝে চলছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। মানুষ যত দ্রুত ভ্যাকসিন পাবে, করোনার প্রকোপ থেকে দেশ তত দ্রুত মুক্তি পাবে। তাই রাজ্য সরকারের নির্দেশে এবং স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে শুক্রবার মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর ১ এবং ২ নং ব্লকে ব্যবসায়ী এবং রেশন ডিলারদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
দুটি ব্লকেই ৩০০ জন করে ব্যবসায়ী এবং ২০০ জন রেশন ডিলার,রেশনে ডিলারের কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এদিকে করোনা টিকা দেওয়ার সময় হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষার চিত্র ধরা পড়ে। লাইনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব লংঘন হতে দেখা যায়। এই নিয়ে ব্যবসায়ী এবং পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে বচসা হয়। তারপর পুলিশ আধিকারিকরা লাইন ঠিক করে দেন। ফের শুরু হয় ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া।
এদিকে ভ্যাকসিন পেয়ে খুশি ব্যবসায়ী ও রেশন ডিলার মহল। হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সকলকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিনোদ গুপ্তা বলেন," রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছিল ব্যবসায়ীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে ব্লকে আবেদন করা হয়েছিল। আজ হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২নং ব্লকের রেশন ডিলার এবং ডিলারের কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে সমস্ত ব্যবসায়ীদেরও দেওয়া হচ্ছে।"
স্বাস্থ্যবিধি লংঘন প্রসঙ্গে তিনি বলেন," স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা উপেক্ষা হয়েছে। সঠিক দূরত্ব মানা হচ্ছিল না। সেই নিয়ে আমরা বলেছি। এখন সব ঠিক আছে।"
উমা পাল নামে এক কাপড়ের ব্যবসায়ী বলেন,"প্রশাসনের উদ্যোগে আজ ব্যবসায়ীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তাই ভ্যাকসিন নিতে এসেছি। ভাল হবে ভেবেই ভ্যাকসিন নিতে এসেছি। আশা করি সব ঠিক হবে।"
স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা নিয়ে পুলিশ আধিকারিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন," লাইন বারবার ঠিক করতে বলছে কিন্তু শুনছে না। না শুনলে লাইন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলে টিকাকরণ কর্মসূচি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বহু মানুষ যুক্ত থাকে। জরুরী কালীন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা লকডাউনের সময়েও মানুষকে পরিষেবা দেন। তাই তাদের ভ্যাকসিন পাওয়াটা খুব জরুরী। তবে ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধির দিকে নজর রাখতে হবে। নাহলে সংক্রমণ আরও ছড়ানোর সম্ভাবনা থেকে যাবে।