বাড়িতে শয্যাশায়ী স্ত্রী, তবু রেড ভলেন্টিয়ার্সদের ৫০ হাজার টাকা দান অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের

  • রেড ভলেন্টিয়ার্সদের ৫০ হাজার টাকা সাহায্য
  • প্রাক্তন শিক্ষক দান করেছেন নিজের তিন মাসের পেনশন
  • বাড়িতে পক্ষাঘাতগ্রস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ সামলে সাহায্য
  • করোনা যুদ্ধে সামিল হওয়ার লক্ষ্যে পদক্ষেপ

Asianet News Bangla | Published : May 27, 2021 7:29 AM IST

নিজে রাস্তায় নেমে কিছু করার ক্ষমতা নেই তাঁর। তবু পিছিয়ে থাকেননি মালদার চাঁচলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। করোনা যুদ্ধে সামিল হয়ে ছিয়াত্তর বছর বয়েসী প্রাক্তন শিক্ষক দান করেছেন নিজের তিন মাসের পেনশন। অবশ্য গল্পটা এখানেই শেষ নয়। যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তিনি এই টাকা তুলে দিয়েছেন, গল্পটা শুরু সেখান থেকেই।  

দীর্ঘদিন ধরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত বছর সত্তরের স্ত্রীর দেখাশোনার সব দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন ছিয়াত্তরের স্বামী৷ এদিকে করোনায় হাহাকার মন নাড়িয়ে দিয়েছিল বৃদ্ধের। এত বিপত্তিতেও তিনি রেড ভলান্টিয়ার্সদের হাতে তুলে দিয়েছেন নিজের তিনমাসের পেনশন ৫০ হাজার টাকা। প্রয়োজনে আরও অর্থ দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন৷ যেন এই বয়সেও গলার শিরা ফুলিয়ে বলতে চাইছেন, ‘আমি তোমাদেরই লোক’৷ 

মালদহের চাঁচলের দক্ষিণ পাড়ায় থাকেন অতুল সিনহা৷ স্ত্রী মণিদীপা সিনহা৷ দু’জনেই স্থানীয় রানী দাক্ষায়ণী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। বছর কয়েক ধরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত মণিদীপা দেবী। তাঁর যাবতীয় সেবাশুশ্রূষা করেন অতুলবাবু নিজেই। দু’জনের পেনশনে চলে যায় তাঁদের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল হয়ে পড়ে গোটা দেশ। তার প্রভাব পড়ে চাঁচলেও। প্রায় ঘরে ঘরে সংক্রমণ। চেনা-অচেনা একের পর এক মৃত্যু নাড়িয়ে দেয় অতুলবাবুকে৷ তখনই লক্ষ্য করেন, করোনা যুদ্ধে জিততে রেড ভলান্টিয়ারদের মরণপণ সংগ্রাম। 

দ্বিতীয়বার নড়ে ওঠে তাঁর মন। নিজে ছিলেন বামপন্থী৷ সিদ্ধান্ত নেন, ভয়াল ভাইরাসের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে তিনিও এই দামালদের সঙ্গে যুদ্ধে নামবেন৷ জানেন, অশক্ত শরীরে রাস্তায় নেমে লড়াই আর সম্ভব নয়৷ তাই তিনি ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন রেড ভলান্টিয়ারদের হাতে৷

এদিকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে দেশে করোনা আক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৯০ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে পজেটিভিটি রেট ১০.৯৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণে প্রথম স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেরল। আক্রান্তের দৈনিক পরিসংখ্যন ২৮ হাজারেরও বেশি।  তারপরেই রয়েছে কর্নাটক। আক্রান্তের দৈনিক পরিসংখ্যন ২৬ হাজারের বেশি। তবে আক্রান্ত রাজ্যগুলির ক্রমতালিকায় প্রথমে রয়েছে মহারাষ্ট্র। দ্বিতীয় স্থানে কর্নাটক আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেরল। মোটের ওপর করোনা আক্রান্ত দেশে চিন্তা বাড়াচ্ছে দক্ষিণের রাজ্যগুলি। 

Share this article
click me!