শুধু কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন নয়। এবার মিলবে রাশিয়ার স্পুটনিক ভির ডোজও। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে স্পুটনিক ভ্যাকসিন পাবেন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার এমনই তথ্য দিয়েছে অ্যাপোলো হসপিটাল। হাসপাতালের এগজিকিউটিভ ভাইস চেয়ারপার্সন শোভনা কামিনেনি জানান অ্যাপোলো হাসপাতালে খুব তাড়াতাড়ি এই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করা হবে।
বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন দিল্লিতে খুব দ্রুত রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের সরবরাহ শুরু হবে। তবে কতটা পরিমাণে এই ভ্যাকসিন দিল্লিতে সরবরাহ করা হবে, তার নির্দিষ্ট পরিমাণ জানানো হয়নি। তবে সরবরাহের ব্যাপারো রাশিয়ার সাথে কথা হয়েছে বলে জানিয়ে ছিলেন কেজরিওয়াল।
স্পুটনিক ভি-র কার্যকারিতা ৯১.৬ শতাংশ। এটিও তৈরি হবে দেশে বলে জানা গিয়েছে। ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরি এই ভ্যাকসিনের ১৫.৬ কোটি ডোজ তৈরি করবে। এটি ২১ দিনের অন্তরে নিতে হবে। তবে এটির একক ডোজের টিকাও রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সেটি ভারতে আসবে।
দিন কয়েক আগেই রাশিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত ডি বালা ভেঙ্কটেশ বর্মা জানান, আগামী তিনটি পর্যায়ে ভারতে ৮৫০ মিলিয়ন স্পুটনিকের ডোজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে রাশিয়ার। ইতিমধ্যেই দু দফায় ভারতের বাজারে এসে পৌঁছেছে এই ভ্যাকসিন। প্রথম পর্যায়ে দেড় লক্ষ ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ষাট হাজার ডোজ ভ্যাকসিন এসে পৌঁছেছে ভারতে। মে মাসের শেষের মধ্যে মোট ৩ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে ভারত বলে খবর।
জুনে এই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লক্ষ। অগাষ্টের মধ্যে ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে প্রতি মাসে ৩৫ থেকে ৪০ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানানো হয় বছর শেষ হওয়ার আগেই ভারতের হাতে ২১৬ কোটি করোনা টিকার ডোজ থাকবে। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল জানিয়েছিলেন, ধীরে ধীরে টিকার সংকট কেটে যাবে। আগামী অগাস্ট মাস থেকে এদেশে টিকার উৎপাদন বাড়বে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ভিকে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২১ সালের পয়লা মে অনুমোদন দেয়। ১৪ই মে এর প্রথম ব্যাচ ভারতে আসে।