শনিবারই বিশ্বকাপে ভারত বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ। কিন্তু তার আগে প্রায় বিধ্বস্ত অবস্থা আফগান ক্রিকেটের। মাঠে ও মাঠের বাইরে একের পর এক সমস্যায় জড়িয়ে পড়ছে বিশ্ব ক্রিকেটে উল্কার গতিতে উঠে আসা আফগানিস্তান।
অথচ গত ৩-৪ বছর ধরে ক্রমেই উঠেছিল আফগান ক্রিকেট। প্রথমে আইসিসির পূর্ণ সদস্যের দেশ হিসেবে মর্যাদা লাভ করা। তারপর টেস্ট খেলার অধিকার পাওয়া। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো দলকে হারানো। পাকিস্তান, ভারতকেও বেগ দেওয়া। প্রথম টেস্ট জয়।
তারপর মনে করা হয়েছিল বিশ্বকাপ ২০১৯ মাতিয়ে দিতে পারে আফগানিস্তান। তাদেরকে অনেকে কালো ঘোড়া হিসেবেও চিহ্নিত করেন। কিন্তু বিলেতের পরিবেশে তাদের শক্তিশালী স্পিন বিভাগ একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। পাঁচটি একটিতেও জয় তো দূরের কথা সামান্য লড়াই-ও ছুড়ে দিতে পারেনি আফগানরা।
এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাঠের বাইরের ঝামেলা। শুরুটা হয়েছিল উইকেটরক্ষক মহম্মদ শেহজাদকে দেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে। হাঁটুর চোটের জন্য তাঁকে আনফিট ঘোষণা করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপরই শেহজাদ মুখ খোলেন আফগান ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ তিনি ফিট থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ষড়যন্ত্র করে খেলতে দেওয়া হচ্ছে না।
ড্রেসিংরুমের পরিবেশও বোর্ডের প্রতিমুহূর্তের হস্তক্ষেপে মোটেই ভাল অবস্থায় নেই। কোচ লেন্ডল সিমন্স হুমকি দিয়ে রেখেছেন, কাপ অভিযান শেষ হলেই বোর্ড কর্তাদের সব কথা ফাঁস করে দেবেন। আবার ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে ম্যাঞ্চেস্টারের এক রেস্তোঁরায় সমর্থকদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। আবার তাই নিয়ে প্রশ্ন করতে গেলে অধিনায়ক গুলবদিন নইব সাংবাদিক সম্মেলন ছেড়ে উঠে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
অথচ, বিশ্বকাপের শুরুতে আফগান ড্রেসিংরুমে বলিউডি গান চালিয়ে শেহজাদ রশিদ খানদের নাচের ভিডিও পোস্ট করে আইসিসি বলেছিল বিশ্বকাপের সবচেয়ে সুখি ড্রেসিংরুম। কিন্তু গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি দ্রুতই বদলে গিয়েছে। ভারত ম্যাচের আগে কিন্তু মোটেও ভাল অবস্থায় নেই আফগান ক্রিকেট। উল্কার গতিতে উঠতে উঠতে মনে হচ্ছে হঠাই পথ হারিয়েছেন তারা।