বছর কয়েক আগেও ভারতীয় ক্রিকেট দল মাঠে নামলেই শোনা যেত আওয়াজটা 'স্যাচিন-স্যাচিন'। ২৪ বছর ধরে প্রায় একার কাঁধেই ভারতীয় ক্রিকেট দলকে সেবা করেছেন সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। কখনও হয়তো ভাবেননি তাঁকে ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপের শিকার হতে হবে। কিন্তু, সোশ্যাল মিডিয়ার বাড়ন্ত যুগে কিছুই অসম্ভব নয়। আফগানিস্তচান ম্যাচে ধোনির মন্থর ব্যাটিং-এর সমালোচনা করায় তাঁকেও ছেড়ে কথা বললেন না, অন্ধ ধোনি-ভক্তরা।
আফগানিস্তান ম্যাচে ধোনি ৫২ বল খেলে ২৮ রান করেন। এরপরই সচিন জানিয়েছিলেন ধোনি ও কেদার যাদবের ব্য়াটিং-এ তিনি সন্তুষ্ট নন। জানিয়েছিলেন, অত মন্থর ব্য়াট করা উচিত হয়নি। তবে কেদার যাদব বিশ্বকাপে প্রথমবার ব্য়াট করার সুযোগ পেয়েছিলেন, আর অভিজ্ঞতায় ধোনি অনেক এগিয়ে বলে তাঁর নিশানায় মূলত ছিলেন ধোনিই।
আর এরপরেই তাঁকে পড়তে হয়েছে ধোনি ভক্তদের নজিরবিহীন আক্রমণের মুখে। ধোনির প্রতি সমর্থন দেখাতে গিয়ে 'মিস্টার ইন্ডিয়া ক্রিকেট'-কেই তীব্র অপমান করা হচ্ছে।
কেউ বলেছেন সচিন আগে নিজের জন্য খেলতেন, এখন ভারতীয় দলে নিজের ছেলেকে ঢোকানোর চেষ্টা করছেন। কোনও ভক্ত মনে করিয়ে দিয়েছেন বারবার ব্যর্থ হওযার পর ধোনির জন্যই বিশ্বকাপ জিততে পেরেছিলেন সচিন। একজন উল্লেখ করেছেন দুটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলে সচিনের অবদান ছিল মাত্র ২২, আর একটি ফাইনালেই ধোনি করেছিলেন ৯১। কেউ কেউ আবার সরাসরি অভিযোগ করেছেন, মুম্বইকররা বরাবরই ধোনি বিরোধী। সচিনও সেই দলেই ভিড়েছেন।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্বকাপে ভারত-পাক ম্যাচ খেলার পক্ষে সওয়াল করাতেও একাংশে ভারতীয় ভক্তের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন সচিন। তাঁকে দেশদ্রোহী বলা হয়েছিল।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড়রা আসার আগে দীর্ঘদিন ভারতীয় দলে একজনই ইনিংস গড়তেন, তাঁর নাম সচিন তেন্ডুলকর। সাহারা কাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর মরুঝড় ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের মনে গেঁথে রয়েছে। তারপরেও এই চরম অপমান কি তাঁর মতো ক্রিকেটারের প্রাপ্য ছিল?