দুর্দান্ত দলগত পারফরম্যান্স। সেমিফাইনাল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে করে দেখানোর পর ফের একবার একেবারে পরিকল্পনামাফিক বল করে গেলেন ইংরেজ বোলাররা। শুরুটা করলেন আর্চার-ওকস, মাঝে প্লাঙ্কেট, উড আবার ডেথ ওভারে কাজটা শেষ করলেন আর্চার। একমাত্র স্টোকস-র তিন ওভার ছেড়া বাকিরা সবাই ওভার প্রতি ৫-এর কম রান দিলেন। আর এই দুরন্ত ইরেজ পেস আক্রমণের সামনে পড়ে ৫০ ওভারে ২৪১-৮ এর বেশি তুলতে পারলেন না কিউই ব্যাটাররা।
এদিন শুরুতেই মার্টিন গাপ্টিল (১৯)-কে ফিরিয়ে দিয়ে ক্রিস ওকস প্রথম ধাক্কা দিলেও, তারপর আরও একবার কেইন উইলিয়ামসন (৩০) ও হেনরি নিকোলস (৫৫) টালমাটাল ইনিংসকে থিতু করেছিলেন। ২২ ওভারে ১০০ রান এসেছিল। কিন্তু তারপরই একেবারে নিখুঁত পরিকল্পনায় কিউই অধিনায়ককেফিরিয়ে দিয়ে ম্য়াচের গতি পাল্টে দেন প্লাঙ্কেট।
২০০৭ সালে শেষ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন, তারপর আবার এই বিশ্বকাপে ফিরে এসে ফাইনালে দারুণ ছাপ রাখলেন। কিউই অধিনায়ককে পর পর কয়েকটি বল বাইরে কাটিয়ে আচমকা একটি বল ভিতরে দিয়েছিলেন। আর এখান থেকেই নিউজিল্যান্ডের ব্য়াটিং ধস শুরু হয়। ২০ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে রান উঠল মাত্র ৮৮ আর উইকেট পড়ল ৪টি। মিডল অর্ডারে একমাত্র টম ল্যাথাম (৪৭) ছাড়া আর কেউ বড় রান পেলেন না।
শেষ ১০ ওভারেও মাত্র ৬২ রান তুলতে পারল নিউজিল্যান্ড। ডেথ ওভারে ৫ ওবার বল করে জোফ্রা আর্চার মাত্র ২২ রান দিয়ে ১টি উইকেট তুলে নিলেন। সব মিলিয়ে ২৪১-এর বেশি উঠল না। ইংরেজ ব্য়াটসম্য়ানদের সামনে এই লক্ষ্যটা একেবারেই বড় নয়।
তবে নিউজিল্যান্ড এই বিশ্বকাপে বারবারই খুব ভাল রান রক্ষা করেছে। বোল্ট ও ম্য়াচ হেনরি যদি শুরুতে কয়েকটি উইকেট তুলে নিতে পারেন, তাহলে কিন্তু ফাইনালের চাপে পড়ে যাবে ইংল্যান্ড।