চন্দ্রবিন্দুর ওই গানটা মনে আছে, 'অঙ্ক কী কঠিন'? দিন কয়েক আগে পর পর কয়েকটি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের দৌড়ে ফিরে আসাটা তাদের কাছে ছিল অনেকটাই 'তেল মাখা বাঁশে, উল্লাসে উঠেছে মাঙ্কি'-এর মতো ছিল। '১৩ সেমি' উঠে বুধবার '১৪ কিমি' পড়তে হল তাদের। যে জটিল অঙ্কের অন্ধকূপে তারা পড়েছে সেখান থেকে নিস্তার পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
শুরুটা বেশ বাজে করলেও তারপর দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রেখেছিল সরফরাজ আহমেদের পাকিস্তান। তবে সেমিফাইনালে যাওয়া না যাওয়াটা তাদের হাতে ছিল না। তাকিয়ে থাকতে হয়েছিল ভারত ও নিউজিল্যান্ডের দিকে। আশা ছিল ইংল্যান্ডকে এদের কেউ একটা হারিয়ে দেবে। কিন্তু, বাস্তবে তা হয়নি। মর্গান-বাহিনীর বিরুদ্ধে গত রবিবার ভারত ৩১ রানে পরাজিত হয়, আর বুধবার নিউজিল্যান্ড হেরেছে ১১৯ রানে।
ফলে সেমিফাইনালে যাওয়ার পাকিস্তানি স্বপ্নের প্রায় সলিল সমাধি ঘটেছে। বুধবারের পর অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইংল্য়ান্ডের শেষ চারের টিকিট পাকা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড বলা যেতে পারে আরএসি-তে রয়েছে। সরকারি শুলমোহরটাই পড়া বাকি। কারণ খাতায় কলমে পাকিস্তানের এখনও একটা সুযোগ থাকলেও সেটা বলে যেতে পারে শুধুই পরিসংখ্যানবিদদের চর্চার জন্য। ক্রিকেটিয় যুক্তিতে পাকিস্তানের বিদায় ঘটে গিয়েছে এদিনই।
সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের সামনে যে অসম্ভব অঙ্ক রয়েছে তা দেখে নিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে -
- প্রথমত, পাকিস্তানকে টসে জিততেই হবে। এবং তারপর প্রথমে ব্যাট করতে হবে।
- ৩০০ রান করাটা কিন্তু সেমিফাইনালে ওটার জন্য যথেষ্ট হবে না। অন্তত ৩৫০ রান করতে হবে। আর তারপর বাংলাদেশকে হারাতে হবে ৩১১ রানের ব্যবধানে।
- যদি পাকিস্তান ৪০০ রান তুলতে পারে, তাহলে জয়ের ব্যবধান রাখতে হবে ৩১৬ রানের।
- ৪৫০ রান করতে পারলে, সেমিফাইনালে উঠতে জয় চাই ৩২১ রানে। অর্থাৎ বাংলাদেশকে ১২৯ রানে অলআউট করে দিতে হবে।
- কিন্তু, যদি বাংলাদেশ টসে জিতে প্রথমে ব্য়াট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, তাহলে প্রথম বল পড়ার আগেই দৌড় থেকে ছিটকে যাবে পাকিস্তান।
অর্থাৎ একেবারে চমৎকার কিছু না ঘটলে, পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত।