থামল ভারতের বিজয়রথ, সেমির পথে ফিরল ইংরেজদের বিশ্বকাপ গাড়ির চাকা

 

  • রবিবার এজবাস্টনে ইংল্য়ান্ডের বিপক্ষে হেরে গেল ভারত
  • প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ইংল্যান্ড ৩৩৭/৭ রান তুলল
  • ভারত থামল ৩০৬/৫ স্কোরে
  • বিফলে গেল রোহিত শর্মার শতরান

amartya lahiri | Published : Jun 30, 2019 6:56 PM IST / Updated: Jul 01 2019, 12:44 AM IST

প্রথমে ব্য়াট হাতে জনি বেয়ারস্টোর শতরান, তারপর বলহাতে ক্রিস ওকস-এর নেতৃত্বে ইংরেজ বোলারদের একেবারে নিখুঁত পরিকল্পনামাফিক বোলিং। আর তাতেই ভারতের বিশ্বকাপ ২০১৯-এর অপরাজিত দৌড় থামিয়ে দিল ইংল্যান্ড। ইংরেজদের ৩৩৭/৭ রান তাড়া করে ৫০ ওভার পর ভারত থামল ৩০৬/৫ স্কোরে। সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগটা এখনও ইংল্যান্ডের নিজেদের হাতেই থাকল। এখন নিউজিল্যান্ড ম্যাচ জিতলেই শেষ চারে চলে যাবে ইংল্য়ান্ড। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাকে তাকিয়ে থাকতে হবে এই ম্যাচের দিকে।

এদিন ভারতের তরফে বেশ কিছু ভুল হয়েছে। রান তাড়া করার সময় প্রথম পাওয়ার প্লে -তে মাত্র ২৮/১ রান তোলেন বিরাটরা। যার ফলে শেষ দিকে প্রবল রানের চাপ পড়ে। পন্থ ও পাণ্ডিয়া আউট হয়ে যাওয়ার পর রানের গতি একেবারেই বাড়াতে পারেননি দোনি ও কেদার যাদব। বোলিং-এও বেশ কিছু ভুল হয়েছে। কিন্তু, এই পরাজয়ের জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে ইংল্যান্ড দলকে। একেবারে টস থেকেই দারুণ দৃঢ়তার পরিচয় দিল তারা।
    
দুই ইংরেজ গোড়াপত্তনকারী ব্য়াটসম্য়ান জেসন রয় (৬৬) ও জনি বেয়ারস্টো (১১১) প্রথম উইকেটেই ২২ ওভারে ১৬০ রান তুলে দেন। শেষ দিকে ভারতীয় বোলাররা কিছুটা রানের গতিতে লাগাম লাগাতে পারলেও, তার মধ্যেই একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন বেন স্টোকস। ৩টি ছয় ও ৬টি চারের সাহায্যে মাত্র ৫৪ বল খেলে তিনি ৭৯ রান করেন। মহম্মদ শামি ৫ উইকেট নিলেও শেষ ৩ ওভারে ৪০ রান দিয়ে দেন। শেষ ১০ ওভারে ৯২ রান তোলে ইংল্যান্ড।

রানটা বেশ বেশিই হয়ে গিয়েছিল। তার উপর ভারতের ইনিংসের শুরু থেকেই ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেন ইংরেজ পেসাররা। এজবাস্টনের উইকেট ক্রমে মন্থর হয়েছে। আর সেখানে কাটার বলকে দারুণভাবে ব্যবহার করলেন তাঁরা। কে এল রাহুল শুরু থেকেই স্বাভাবিক ছন্দে ছিলেন না। ফিল্ডিং করার সময়ই তিনি চোট পেয়েছিলেন কোমড়ে। আর ফিল্ডিং না করলেও ব্য়াট করতে আসেন। কিন্তু ৯ বল খেলে ০ করে ক্রিস ওকস-এর লে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।

এরপর ওকস-আর্চারকে সামলাতে রোহিত ও বিরাট কোহলি নিজেদের রক্ষণের চাদরে মুড়ে পেলেছিলেন। ক্রমে কিন্তু হাত খুলতে শুরু করেন দুজনেই কিন্তু বিরাট (৬৬) এদিনও অর্ধশতরান করেই ফিরলেন। আর চলতি বিশ্বকাপে তাঁর তৃতীয় শতরান করে রোহিত যখন তাণ্ডব শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছেন তখনই ক্রিস ওকসকে আক্রমণে ফেরালেন মর্গান। তিনি এসেই আরও একটি দুর্দান্ত কাটারে ফিরিয়ে দেন ভারতের সহঅধিনায়ককে।

এরপর সব ভরসা ছিল এদিনই বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে নামা ঋষভ পন্থ (৩২) ও হার্দিক পাণ্ডিয়া (৪৫)। দুই তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটার আশাও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ইংরেজ ক্রিকেটাররা দেখালেন কীভাবে মন্থর পিচটাকে ব্যবহার করতে হয়। সেই কাটার-এরই শিকার হলেন দুজনেই। বিরাট, পন্থ, পাণ্ডিয়া তিন জনেই প্লাঙ্কেট-এর শিকার। তাঁর উপরই মাঝের ওভারে উইকেট তোলার দায়িত্ব দিয়েছিল ইংল্যান্ড।   

এরপর ক্রিজে ছিলেন ধোনি ও কেদার যাদব। কেদার (১২*) এদিনও কিছু করতে পারলেন না। আর ধোনি (৪২*) এদিন ১৩৫.৪৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করলেন বটে, কিন্তু যে ধোনি আনহোনি কে হোনি করতে পারতেন, তার সঙ্গে এই ধোনির অনেকটাই ফারাক।

.

 

Share this article
click me!