২০১৫ সালে শেষ বিশ্বকাপে ধোনির ভারত যখন খেলছিল, তখন রঞ্জি দলেই ছিলেন না ঋষভ পন্থ। ওই বছরেরই শেষ দিকে তাঁর দিল্লির হয়ে রঞ্জি অভিষেক হয়েছিল। আর তারপর চার বছর যেতে না যেতেই রবিবার (৩০ জুন) ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় জার্সিতে বিশ্বকাপ অভিষেক ঘটল তাঁর।
২০১৬ সালে আইপিএল-এ দিল্লি ডেয়ারডেভিলস-এ হয়ে ৪ বলে ৬৯ রান করে প্রথম তিনি ভারতীয় নির্বাচকদের নজর কেড়েছিলেন। তারপর গত তিন আইপিএল মরসুমে ধীরে ধীরে তিনি ক্রিকেটার হিসেবে পরিণত হয়েছেন।
এর মধ্যে ২০১৭ সালে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ ম্য়াচে ভারতের হয়ে অভিষেক ঘটেছিল পন্থের। ওই বছরই ওয়েস্টইন্ডিজ সফরে তিনি ভারতীয় দলে সুযোগ পান। একদিনেরক ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয় অবশ্য গত বছর ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে। তার আগেই অবশ্য ইংল্য়ান্ড সফরে হয়েছিল তাঁর টেস্ট অভিষেক। একই সফরে তিনি তাঁর কেরিয়ারের প্রথম টেস্ট শতরানও পেয়েছিলেন। এবার সেই ইংল্যান্ড ম্য়াচেই তাঁর বিশ্বকাপ অভিষেক ঘটল।
বিশ্বকাপের প্রাথমিক ১৫ জনের দলে অবশ্য তিনি ছিলেন না। তাঁর বদলে দীনেশ কার্তিককে দলে নেওয়া নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠেছিল। শিখর ধাওয়ান চোট পাওয়ায় তাঁর বদলে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পান তিনি। আর এরপর বিজয় শঙ্করের ধারাবাহিক ব্যর্থতা তাঁর সামনে প্রথম দলে ঢোকার সুযোগও করে দিল।
ঋষভ পন্থের আগ্রাসী ব্য়াটিং স্টাইল সীমিত ওভারের ক্রিকেটের জন্য বেশি মানানসই হলেও এখনও পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটেই তিনি বেশি সফল। এই পর্যন্ত ৯টি টেস্ট খেলা হয়ে গিয়েছে তাঁর, সেখানে এইদিনের আগে একদিনের ম্য়াচ খেলেছিলেন মাত্র ৫টি। রান রয়েছে ৯৩। ব্য়াটিং গড় ২৩.২৫। সর্বোচ্চ ৩৬।
তবে বিশ্বকাপের দলে প্রথমে সুযোগ না পাওয়ার হতাশা তিনি আইপিএল ২০১৯-এ দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে দূর করেন। ১৬ ইনিংসে তিনি ৪৮৮ রান করেন। বিশ্বকাপে সেই ফর্ম তিনি দেখাতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।