ভারতীয় হোটেলে ঢুকতে বাধা পাক সমর্থককে! রাতারাতি হয়ে গেলেন বিরাটদের ভক্ত

  • ম্যাঞ্চেস্টারের এক ট্যাক্সিচালক আদতে পাকিস্তান ভক্ত
  • ভারতের টিম হোটেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন
  • তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ম্যাচের আগে ভারতীয় ক্রিকেটারর
  • আর কোনওদিকে মন দিতে চান না। এরপরই ভারতীয় দলের সমর্থক হয়ে গিয়েছেন তিনি

 

amartya lahiri | Published : Jul 9, 2019 2:28 PM IST / Updated: Jul 09 2019, 07:59 PM IST

ম্যাঞ্চেস্টার শহরে ট্যাক্সি চালান মহম্মদ। তবে এটুকুই তাঁর পরিচয় নয়। পাকিস্তান থেকে আসা এই ট্যক্সিচালক আর পাঁচজন এশিয়র মতো ক্রিকেট অন্তপ্রাণ। সপ্তাহান্তে স্থানীয় ক্লাবে খেলেনও। ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ডের মাঠ, তার আশপাশ হাতের তালুর মতো চেনেন। অবশ্যই তিনি পাক সমর্থক, কিন্তু বিশ্বকাপ ২০১৯ চলাকালীন এক তাঁর সঙ্গে এমন এক ঘটনা ঘটেছে যার কারণে তিনি এখন ভারতীয় দলের দারুণ বড় সমর্থক হয়ে উঠেছেন।

সংবাদ সংস্থা আইএমনএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মহম্মদ জানিয়েছেন, ১৫ জুন অর্থাৎ ম্যাঞ্চেস্টারে ভারত-পাক ম্যাচের আগের দিন তিনি রাডিসন ব্লু হোটেল সংলগ্ন এলাকায় ট্যাক্সি চালাচ্ছিলেন। ওই হোটেলেই উঠেছিল ভারতীয় দল। খবর পেয়ে স্রেফ কৌতূহলের বশেই হোটেলে চলে গিয়েছিলেন মহম্মদ। হোটেলের বেশ কয়েকজন কর্মী আবার তাঁর পরিচিত। ভেবেছিলেন তাদের হাত করে এই সুযোগে ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে ালাপ করবেন, ছবি তুলবেন।

কিন্তু, ম্য়াঞ্চেস্টারের এই ট্যাক্সি চালক জানিয়েছেন, হোটেলে গিয়ে তিনি দেখেছিলেন সেই গুড়ে বালি। তাঁর বন্দুরা সব হাত তুলে দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন এইরকম বড় ম্যাচের আগে ভারতীয দল কারোর সঙ্গে দেকা করছে না। এই বিষয়ে একেবারে কড়া মনোভাব নেওয়া হয়েছে। মহম্ম জানিয়েছেন, তিনি হতাশ হলেও ভারতীয় দলের কাছে ম্যাচটির গুরুত্ব বুঝেছিলেন।

এরপর তিনি পাকিস্তানের টিম হোটেলেও গিয়েছিলেন। মহম্মদ জানিয়েছেন, তিনি জানতেন একই রকম অভিজ্ঞতা হবে। ক্রিকেটারদের টিকিটিও দেখা যাবে না। কিন্তু, হোটেলে পৌঁছে তিনি অবাক হয়ে যান। দেখেন, পাক ক্রিকেটাররা সব লবিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সমর্থকদের সঙ্গে ছবি তুলছেন, হাসি ঠাট্টা করছেন। মহম্মদ জানিয়েছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা একেকজন তাঁর নায়ক। কিন্তু ভারতীয় দলের হোটেল থেকে এসে নায়কদের সামনে পেয়েও তাঁর ভাল লাগেনি। বরং হতাশ হয়েছিলেন।

বাকি বিশ্বকাপে তিনি ভারতীয়দেরই সমর্থন করবেন। কারণ তিনি চান রপাকটা উপমহাদেশে রেখে দিতে। কাজের জন্য মঙ্গলবার তিনি ওল্ড ট্রাফোর্ডে কেলা দেখতে যেতে পারেননি। তবে সারাদিন ট্যাক্সিতে রেডিও-তে খেলার ধারাভাষ্য শুনেছেন।  

Share this article
click me!