দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এক নম্বর দল ইংল্যান্ড! আসল পরীক্ষা শুরু মর্গানদের

  • বৃহস্পতিবারই, শুরু হতে চলেছে আই ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • লন্ডনের ঐতিহাসিক দ্য ওভাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হতে চলেছে আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা
  • ইংরেজদের প্রধান ভরসা তাদের ব্যাটিং
  • প্রোটিয়ারা প্রতিপক্ষের প্রত্যাশার চাপের সুযোগ নিতে

 

amartya lahiri | Published : May 29, 2019 11:26 AM IST

ক্রিকেট খেলাটার জন্মদাতা দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও এখনও একবারও বিশ্বকাপ ট্রফি জেতা হয়নি ইংল্যান্ডের। চার বছর আগে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডেই লজ্জার বিদায় নিতে হয়েছিল। তারপরই সীমিত ওভারের ক্রিকেট দলের খোল-নলচে বদলে ফেলা হয়। আর সেই বদলটা ইংল্যান্ড ক্রিকেটে বিপ্লব এনেছে বলা যায়। একদিনের ক্রিকেটে এখন তারা এক নম্বর দল। শ্রেষ্ঠত্বের আসল পরীক্ষা অবশ্য শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। লন্ডনের ঐতিহাসিক দ্য ওভাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হতে চলেছে আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

ইংল্যান্ড ক্রিকেটে বদলটা এসেছে মূলতেছে ব্যাটিং-এর হাত ধরে। জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, ইয়ন মর্গান, জস বাটলার, বেন স্টোকস - প্রত্যেকেই যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। ২০১৫ সাল থেকে গত চার বছরে দুইবার ইংল্যান্ড দল একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে। বিশ্বকাপের আগে তারা বলেই দিয়েছে, প্রতিপক্ষ যে রানই করুক, তা তাড়া করার ক্ষমতা তাদের রয়েছে। ৩৫০ রান প্রায় প্রতি ম্যাচেই তোলে যে দল, তারা এই কথা বলতেই পারে। সেই সঙ্গে আসন্ন বিশ্বকাপে ওডিআইতে প্রথম ৫০০ রানের ইনিংসড়ার লক্ষ্য নিয়েছে তারা।

অপরপক্ষে এখনও বিশ্বকাপ জেতেনি দক্ষিণ আফ্রিকাও। চার-চারবার তারা সেমিফাইনালে উঠেও পরাজিত হয়েছে। এই বছর তাদের দলকে নিয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা করছেন না বিশেষজ্ঞরা। আখেরে তাতে দলের পক্ষে মঙ্গলই হয়েছে বলে মনে করছে প্রোটিয়ারা। বিশেষ করে প্রথম ম্যাচে যাবতীয় চাপ ইংল্যান্ডের উপরেই থাকবে, যেটা তাদের বাড়তি সুবিধা দিতে পারে।

তাদের কোচ ওট্টিস গিবসন আগে ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ ছিলেন। তিনি মনে করছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তনরা ধরেই নিয়েছেন তারাই এবার বিশ্বকাপ জিতছেন। কাজেই সেই প্রত্যাশার চাপ অবশ্যই সামলাতে হবে ইংরেজ দলকে। আর সেই সুযোগে চাপমুক্ত হয়ে খেলে তাঁরা বাজিমাত করতে পারেন।

প্রথম ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলাটাও তাঁদের টুর্নামেন্টে সুবিধা দেবে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর মতে প্রথমেই বিশ্বকাপ জেতার প্রধান দাবিদারের মুখোমুখি হলে তাঁরা নিজেদের অবস্থাটা বালোমতো যাচাই করে নিতে পারবেন।

ডেভিবিয়ার্স অবসর নেওয়ার প্রোটিয়াদের ব্যাটিং ভারে অনেটাই কমেছে। তবে তারপরেও অধিনায়ক ডু প্লেসিস বা ডি কক রা রয়েছেন। বোলিং-এও চোটের জন্য প্রথম ম্যাচে পাোয়া যাবে না ডেল স্টেইনকে। তবে তাদের এইবারের প্রধান ভরসা কিন্তু কাগিসো রাবাডা। নিঃসন্দেহে তিনিই এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা জোরে বোলার।

দুই দলের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ -

ইংল্যান্ড: জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, ইয়ন মর্গান (অধিনায়ক), জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), বেন স্টোকস, মইন আলি, ক্রিস ওকস, লিয়াম প্লাঙ্কেট / মার্ক উড, জোফ্রা আর্চার এবং আদিল রশিদ।

দক্ষিণ আফ্রিকা: হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), এডেন মার্করাম / রসি ভ্যান ডার ডুসেন, ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), জেপি ডুমিনি, ডেভিড মিলার, অ্যান্ডি ফেহলুকাওয়িও, ক্রিস মরিস, কাগিসো রাবাডা, লুঙ্গি এনগিদি, এবং ইমরান তাহির।

 

Share this article
click me!