কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সের সবুজ পিচে ঝলমল করলেন আফগান স্পিনার মহম্মদ নবি। আর তাতেই সম্ভবত বিশ্বকাপের ম্য়াচে সবচেয়ে বড় ব্যাটিং ধস দেখা গেল। ২১ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১৪৪ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে নবির পরের ছয় বলে তারা পৌঁছল ১৪৬-৪'এ। ওই একটি ওভারই ম্যাচের গতি প্রকৃতি পাল্টে দিল। শেষ পর্যন্ত ৩৭ ওবারে ২০১ করেই অলআউট হয়ে গেল তারা। বৃষ্টিতে অনেকটা সময় নষ্ট হওয়ায় খেলা নেমে এসেছে ৪১ ওভারে। ডার্কওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি অনুসারে আফগানিস্তানকে করতে হবে ১৮৭।
অথচ এদিন কিন্তু করুনারত্নে (৩০)-র সঙ্গে ইনিংস-এর শুরুটা দারুণ করেছিলেন কুশল পেরেরা (৭৮)। প্রথম উইকেটে ১৩ ওভারে ৯০-এর উপর রান আসে। করুনারত্নেকে ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কাটাও নবিই দিয়েছিলেন। তারপর পেরেরার সঙ্গে থিরিমানেও (২৫) ভালই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ইনিংস। কিন্তু ২২তম ওভারেই পুরো খেলাটা পাল্টে গেল।
দ্বিতীয় বলে অফস্টাম্পের বাইরের ভাসানো বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটে টেনে এনে বোল্ড হলেন থিরিমানে। চতুর্থ বলে অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাটের কানা ছুঁইয়ে ক্যা দিয়ে ফিরলেন কুশল মেন্ডিস (০)। তার দুই বল পরে একই ভাবে আউট হলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (০)।
পরের ওভরেই হামিদ হাসানের অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাটের কানা ছুইয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ধনঞ্জয় ডিসিলভা (০)। বেশিক্ষণ টেকেননি থিসারা পেরেরা (২)-ও। আত্মঘাতিন নিতে গিয়ে রানআউট হন তিনি। অফ সাইডে একেবারে ফিল্ডারের হাতে বল দিয়েই দৌড়তে গিয়েছিলেন তিনি।
এরপর পুরো ৫০ ওভার খেলার চেষ্টা না করে শুরু থেকেই মাপরতে গিয়েছিলেন ইসুরু উদানা (১০)। একটি ছয়ও মারেন। কিন্তু তারপর জঘন্যভাবে বোল্ড হন তিনি। পরের ওভারেই রশিদ খানের বলে কুশল পেরেরাও আউট হয়ে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কার অন্তত লডা়ই করতে পারার মতো রান তোলার আশাও শেষ হয়ে যায়।
কিন্তু শ্রীলঙ্কা ইনিংসের অনেকটা নষ্ট হয় বৃষ্টিতে। সকাল থেকেই কার্ডিফে হাল্কা বৃষ্টি হচ্ছিল। আকাশের মুখ ছিল ভার। কিন্তু ৩৩তম ওভার শেষ হওয়ার পরই বেশ জোরে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি এসে খেলা বন্ধের সময় শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ১৮২-৮। আড়াই ঘন্টা পর খেলা শুরু হলেও খুব বেশি এগোতে পারেনি তারা।