দাপুটে জয় বলতে যা বোঝায়, বিশ্বকাপের ৩৫তম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঠিক সেটাই করে দেখাল দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপ শুরুর প্রায় একমাস কেটে যাওয়ার পর অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের আসল চেহারার তুলে ধরল। প্রথমে দুর্দান্ত বল করে শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ২০৩ রানে বেঁধে রাখল। আর তারপর হাশিম আমলা (৮০*) ও অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস (৯৬*)-এর অপরাজিত ১৭৫ রানের জুটির দৌলতে ৩৭.৩ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল। জয় পেল ৯ উইকেটে।
এতদিন শেষ চারে পৌঁছনোর চাপ ছিল প্রোটিয়া দলের উপর। সেই চাপ সরে যেতেই খোলা মনে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলল দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচের শুরুর প্রথম ১০ ওভার বাদ দিলে গোচটা ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখলে প্রোটিয়ারা। প্রথম বলেই অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে (০)-কে হারানোর পর কুশল পেরেরা (৩০) ও আবিষ্কা ফার্নান্দো (৩০) পাল্টা লড়াই ছুড়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে। প্রথম পাওয়ার প্লে-তে ওভার প্রতি প্রায় ৭ করে রান তুলেছিলেন এই দুইজন। কিন্তু তাঁরা ফিরতেই দিশাহারা হয়ে পড়েন শ্রীলঙ্কান ব্য়াটসম্যানরা।
এই মাঠে খুচরো রান নেওয়ার দরকার ছিল। তা না নিতে পেরে বড় শট খেলতে গেলেন শ্রীলঙ্কানরা। তাতেই ছড়ি ঘোরানো শুরু করেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা। বিশেষ করে দারুণ বল করলেন এই ম্য়াচেই দলে আসা ডোয়েন প্রিটোরিয়াস। ১০ ওভারে ২টি মেডেন-সহ মাত্র ২৫ রান দিয়ে তিনি কুশল পেরেরা, আবিষ্কা ফার্নান্দো ও কুশল মেন্ডিস (২৩)-এর উইকেট তুলে নেন। ক্রিস মরিসও ৩ উইকেট নিলেন। এছাড়া রাবাডা ২টি, পেহলুকাওইও ও ডুমিনি ১টি করে উইকেট নেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের উপর ফের মালিঙ্গার ক্রোধ বর্ষিত হবে - এমনটাই আশা করেছিলেন ক্রিকেট ভক্তরা। শুরুটাও করেছিলেন দুরন্ত ইয়র্কারে কুইন্টন ডি কক (১৫)-কে ফিরিয়ে দিয়ে। কিন্তু আর কোনও শ্রীলঙ্কান বোলাররা পাল্লা দিতে না পারায় প্রোটিয়া ব্য়াটসম্য়ানদের উপর চাপ তৈরি হল না। খেলাটা ধরে নেন আমলা ও ডুপ্লেসিস।