আসন্ন ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতার প্রধান দুই দাবিদার ধরা হচ্ছে ইংল্যান্ড ও ভারতকে। চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকেও দৌড়ে ধরা হচ্ছে। কিন্তু, কেউ বলছে না দক্ষিণ আফ্রিকার নাম। অথচ, তাদের হাতে এক দুর্দান্ত সীমিত ওভারের দল রয়েছে। এর প্রধান কারণ প্রোটিয়াদের চোকার্স তকমা। বড় ম্যাচ হলেই ভেঙে পড়ে তারা।
নির্বাসন কাটিযে ক্রিকেটে ফেরার পর থেকে এখনও পর্যন্ত চারবার সেমিফাইনালে উছেঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু একবারও কাপ জেতা তো দূর ফাইনালেই উঠতে পারেনি। গত বিশ্বকাপেও রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালেই বিদায় নিয়েছিল তারা। অবশেষে এই রোগের দাওয়াই খুঁজে পেয়েছেন বলে মনে করছেন প্রোটিয়া অধিনায়াক ডু প্লেসিস।
এর আগে আরও দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি মনে করছেন বিশ্বকাপ এলেই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা নিজেদের স্বাভাবিক খেলাকে ছাপিয়ে বেশি কিছু করে দেখাতে যায়। সুপারম্যান হয়ে উঠতে চায়। আর তাই করতে দিয়ে নষ্ট হয় নিজেদের স্বাভাবিক ছন্দ। ফলে নিজেদের ক্ষমতার পরিপূর্ণ ব্যবহার করতে পারে না তারা।
এই সুপারম্য়ান হয়ে ওঠার ইচ্ছের পিছনে আসলে ভয় কাজ করে বলে আইসিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন ডু প্লেসিস। সেই ভয় হল হেরে যাওয়ার ভয়। দুপ্লেসিস-এর মতে এই হেরে যাওয়ার ভয় আর নিজেদের ছাপিয়ে অতিরিক্ত করার চেষ্টা এই দুটিকে কাটিয়ে উঠতে পারলেই দক্ষিণ আফ্রিকার চোকার্স তকমা কাটবে। সব কিছু ভুলে বিশ্বকাপে ক্রিকেট খেলাটাকে উপভোগ করতে হবে। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারলেই সাফল্য আসবে বলে তাঁর বিশ্বাস। কারণ ক্রিকেটিয় দক্ষতায় প্রথম সারির দলগুলির থেকে কোনওভাবেই তাঁরা পিছিয়ে নেই।