অনিশ্চয়তায় ভরা - সুনাম বা বদনাম যাই বলা হোক, তা ধরে রাখল পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে যারা ১০৫ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল, তারাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ট্রেন্টব্রিজে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৪৮ রানের বিশাল স্কোর তুলল। মাত্র ৬২ বলে ৮৪ রান করলেন মহম্মদ হাফিজ। অর্ধশতরান করলেন বাবর আজম (৬৩) ও সরফরাজ আহমেদ (৫৫)-ও। তার আগে ইনিংসের শুরুটা ভাল করেছিলেন ইমাম উল হক (৪৪)।
এদিন একেবারে শুরু থেকে খুব পরিকল্পনামাফিক ব্যাটিং করেছে পাকিস্তান। বলা যেতে পারে তাদের ইনিংস দাঁড়িয়ে আছে তিনটি প্রধান জুটির উপরে। প্রথমে ইমামের সঙ্গে অপর ওপেনার ফখর জামান (৩৬) ৮৩ রানের একটি জুটি গড়েন। ওপেনারদের বিদায়ের পর আবার বাবর আজম ও মহম্মদ হাফিজের মধ্যে একটি ৮৮ রানের জুটি হয়। আর তারপর হাফিজের সঙ্গে অধিনায়ক সরফরাজ আরও একটি ৮০ রানের জুটি গড়েন। এই তিনটি বড় জুটিই পাকিস্তানকে রানের পাহাড়ে তুলে দেয়।
তবে একই সঙ্গে বলতে হবে ইংল্যান্ড বোলারদের ব্যর্থতার কথাও। যদিও এই পিচ একেবারেই ব্যাটিং সহায়ক। কিন্তু ইংরেজ বোলাররা কখনই জায়গায় বল রাখতে পারেননি। পাকিস্তানি ব্য়াটস্যানদের শর্টবল খেলার দুর্বলতা আগের দিনই প্রকাশ করে দিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। এদিন কিন্তু ইংরেজ বোলাররা কেউই জায়গায় শর্ট বল রাখতে পারলেন না। অধিকাংশ বোলার চেষ্টাই করলেন শর্ট বলের। আর জোফ্রা আর্চার যা বাউন্সার দিলেন, বেশির ভাগই অনেক উপর দিয়ে গিয়ে ওয়াইড হল, আর নাহলে কোমরের উফচ্চতায় এল, যা সহজেই মেরে দিলেন পাক ব্য়াটারা। এরমধ্যে কিছুটা ভাল করলেন এদিনই দলে আসা মার্ক উড এবং স্পিনার মইন আলি।
তবে ইংল্যান্ড দল বড় বড় রান তাড়া করতে সক্ষম। এই মাঠেই কয়েকদিন আগে একদিনের সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪০-এর বেশি রান তাড়া করেছে। তাই এই রানটাও নিরাপদ না হতে পারে। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের পর ইংরেজ অধিনায়ক মর্গানও বলে দিয়েছেন এই রানটা তাঁরা তাড়া করে ফেলতে পারবেন বলেই মনে করছেন।