ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে তাঁদের জুটি কুল-চা নামে জনপ্রিয়। বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের সাফল্যও অনেকটাই নির্ভর করছে এই স্পিন জুটির উপরে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতীয় স্পিন জুটি দাপট দেখানোর পরে যুজবেন্দ্র চহাল স্বীকার করে নিলেন, মাঠে এবং মাঠের বাইরে কুলদীপের সঙ্গে তাঁর দারুণ সম্পর্কই তাঁকে উইকেট তুলতে সাহায্য করে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে চহাল এবং কুলদীপ দু' জনেই যখেষ্ট সফল হয়েছেন। ৫৫ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন চহাল। আর ৪৭ রানে তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন কুলদীপ। গোটা বিশ্বকাপেই কুল-চা জুটির এমন পারফরম্যান্সের দিকে তাকিয়ে থাকবে ভারতীয় দল এবং তাদের সমর্থকরা।
ম্যাচের পরে চহাল স্বীকার করে নিয়েছেন, এই ম্যাচের ফল তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে তাঁর স্বীকারোক্তি, "আমার সঙ্গে কুলদীপের সম্পর্ক দারুণ। আমরা জুটি বেঁধে পারফর্ম করি আর পরস্পরকে বিশ্বাস করি। ভাল ফল করতে গেল এই বিশ্বাস থাকাটা খুব জরুরি। ঠিীক যেভাবে ভুবনেশ্বর, শামি এবং বুমরাহ দলের হয়ে পারফর্ম করে। একইভাবে আমরাও জানি যে দু' জনে মিলে রান আটকে রাখতে পারলে আমাদের উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।"
কীভাবে তাঁরা পরস্পরের পরিুপূরক হয়ে ওঠেন, তাও বোঝানোর চেষ্টা করেছেন চহাল। তাঁর কথায়, "আমি যদি রান দিয়ে ফেলি, তাহলে কুলদীপ জানে পরের ওভারে কীভাবে বল করতে হবে, আবার উল্টোটাও হয়। আমরা যাই করি না কেন, পার্টনারশিপে করি। দেশের হয়ে ভাল কিছু করতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই বেশি দায়িত্ব কাঁধে নিতে হয়। কুলদীপ এবং আমি জানি, চাপের থাকলে ভাল পারফর্ম করতে পারলেই দলের উপকার হবে।"
যে কোনও পর্যায়ে এটাই চহালের প্রথম বিশ্বকাপ। এর আগে অনুর্ধ্ব উনিশ বিশ্বকাপেও খেলা হয়নি তাঁর। ফলে একটু বেশিই উত্তেজিত তিনি। ৫ জুন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামার আগে তাই বাংলাদেশের ভাল পারফরম্যান্স তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।
গত প্রায় দু' বছর ধরে ভারতের প্রধান স্পিন জুটি হয়ে উঠেছেন তিনি এবং কুলদীপ। ফলে তাঁদের বোলিংয়ের কৌশলও অনেকটাই বুঝে নিয়েছেন বিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা। আত্মবিশ্বাসী চহালের অবশ্য দাবি, বিপক্ষ যেমন তাঁদের জন্য তৈরি, একইভাবে তাঁরাও অন্যান্য দলের ব্যাটসম্যানদের ভিডিও নিয়মিত দেখে তাঁদের দুর্বলতা সম্পর্কে অবহিত থাকেন। তার উপরে আইপিএল-এ ডেভিড ওয়ার্নার, জস বাটলারদের মতো বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে খেলেও তাঁরা অনেকটা তৈরি বলে দাবি চহালের।
চহালের কথায়, "আমরা নতুন নতুন জিনিস করার চেষ্টা করি। আমাদের বোলিংয়ে বৈচিত্র হয়তো একই রকম থাকে, কিন্তু ব্যাটসম্যান অনুযায়ী কোন উইকেটে আমরা সেগুলি ব্যবহার করব, সেটাই আমাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি চিন্নাস্বামীর মতো ছোট মাঠে ওয়ার্নার, বাটলারদের বিপক্ষে আইপিএল-এ বল করেছি। ফলে এখানেও নির্দিষ্ট চিন্তাভাবনা নিয়েই আমরা এসেছি।"