গায়ে হলুদ থেকে আইনত বিয়ের ছবি আগেই শেয়ার করেছিলেন বুলবুল সাহা (Bulbul Saha)। এবার সামাজিক মতে বিয়ের (social marriage) পর কোথায় হানিমুনে যাবেন জানালেন অরুণ লাল (Arun Lal)।
বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ও বাংলা ক্রিকেট দলের বর্তমান কোচ অরুণ লালে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে জোর চর্চা চলছিল। অরুণ লালের বান্ধবী গায়ে হলুদ থেকে শুরু রেজিস্ট্রি ম্য়ারেজ সবকিছুর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার তুলে ধরছিলেন নানা মুহূর্ত। কিন্তু সকলের প্রতীক্ষা ছিল সামাজিক মতে সিঁদুর পরিয়ে কখন বছর ৩৬-এর বুলবুল সাহাকে বিয়ে করবেন ৬৬-র অরুণ লাল। সোমবার শহরের এক অভিজাত হোটেলে বসেছিল বিয়ের আসর। এলাহি খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। তালিকায় ছিল চিংড়ি মালাইকারি, ফিস ফ্রাই, খাসির মাংস, মিষ্টি দই সহ আরও রকমারি পদ। বিয়ের পর সকলের সামনে এসে হানিমুন নিয়ে তাদের কী পরিকল্পনা সেই কথাও জানালেন নব দম্পতি।
সামাজিক বিয়ের অনুষ্ঠানে ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবি ও মেরুন জহর কোট পড়েছিলেন অরুণ লাল। বুলবুল সাহা পড়েছিলেন মেরুন রঙা লেহঙ্গায়। বিয়ের অনুষ্ঠানে মালা বদল থেকে সিঁদুর দান সবকিছুই হয় নিয়ম মেনে। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সাবা করিম সহ অন্য়ান্য। বিয়ের পর প্রকাশ্যে এক সঙ্গে আসেন অরুণ এবং বুলবুল। অরুণ লাল জানান, “৬৬ বছরে বিয়ে করে কোনও দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই না। এটা আমার অত্যন্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তবে এটুকু বলতে পারি, আমি আর বুলবুল বাকি জীবনটা একসঙ্গে ভালভাবে কাটিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছি।” নিজেদের হানিমুনের পরিকল্পনা নিয়ে বলতে গিয়ে অরুণ লাল জানান, “সামনে বাংলার রনজির কোয়ার্টার ফাইনাল। বেঙ্গালুরু যেতে হবে। সেখানেই হবে মধুচন্দ্রিমা।” বলেন, “বাংলা দলের সঙ্গে যেতে চাই। ওদের সমর্থন জানাতে চাই।” ফলে বিয়ে করলেও নিজের দায়িত্বে যে অবিচল অরুণ লাল সেকথাও প্রমাণিত। তাই বাংলার যেখানে ম্য়াচ সেখানেই স্ত্রীকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমা সারতে চান অরুণ লাল।
প্রসঙ্গত, দিল্লির হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে শুরু করলেও, পরে কলকাতায় চলে আসেন। বাংলা দলের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন মানসিক কাঠিন্য। তাঁর উপস্থিতি বদলে দিয়েছিল গোটা দলের চরিত্র। ১৯৮৯-৯০ মরশুমের রঞ্জি জয়ী বাংলা দলের সদস্য ছিলেন তিনি। দিল্লির বিরুদ্ধে ফাইনালে ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর ১৮৯ রানের ইনিংস নিয়ে এখনও ময়দানে আলোচনা হয়। ২০১৬ সালে চোয়ালের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু হার মানেননি। মারণরোগকে হার মানিয়ে আবার মাঠে ফিরে এসেছেন। ২০১৯-২০ রঞ্জি মরসুমে কোচ হিসেবে বাংলা দলকে ফাইনালেও তুলেছিলেন তিনি। এবার তার কোচিংয়ে রঞ্জি মরসুমে ভালো শুরু করেছে বাংলা দল। এবার আরও এক নতুন ইনিংস শুরু করলেন অরুণ লাল।
আরও পড়ুনঃঅনামিকাতে জ্বলজ্বল করছে আংটি, তাহলে কী বাগদান সেরে ফেলেছেন সারা তেন্ডুলকর