মেলবোর্নে (Melbourne) চলছে অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডের (Australia vs England) অ্যাসেজ সিরিজের (Ashes Series) তৃতীয় টেস্ট। ম্য়াচে সুবিধাজনক জায়গায় প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins)দল। এরই মধ্যে ইংল্যান্ড দলের অন্দরে থাবা বসাল কোভিড ১৯ (Covid 19)।
মেলবোর্নে চলছে ২০২১-২২ অ্যাসেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। প্রথম দুটি টেস্টে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া দল। তৃতীয় টেস্টেও সুবিধা জনক জায়গায় রয়েছে ব্যাগি গ্রিনরা। কিন্তু অপরদিকে সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে ইংল্যান্ড দলের। সিরিজে ২-০ পিছিয়ে, তৃতীয় টেস্টেও হারের ভ্রুকুটি। এরই মধ্যে আরও বাড়ল সমস্যা। অ্য়াসেজ সিরিজের মাঝেই করোনা ভাইরাস থাবা জো রুটের দলের অন্দরে। যার ফলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করতেও দেরি হয়। ইংল্যান্ড দলের মোট চার সদস্য বিশ্ব অতিমারী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে স্বস্তির খবর হল ইংল্যান্ড দলের কোনও ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হননি। দলের দুই সাপোর্ট স্টাফ ও ক্রিকেটারদের পরিবারের দুই সদস্য কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। তার সকলেই বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন।
এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে বিষয়টি খোলাসা করে বলা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে খবর পৌঁছে গিয়েছে যে, ইংল্যান্ড দলের দুই সাপোর্ট স্টাফ এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় তাঁদের শরীরে করোনার সন্ধান মিলেছে। আক্রান্তরা এখন আইসোলেশনে। পুরো ইংল্যান্ড টিম এবং সাপোর্ট স্টাফেদের সোমবার সকালেই ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়। খেলা শুরু হওয়ার ৪৫ মিনিট আগে সেই রিপোর্ট আসে। তাতে বাকি কারও শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েনি। এই বিষয়কে মোটেও হাল্কা ভাবে নিচ্ছে না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে প্রত্যেকের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হয়। করোনা সংক্রমণ শুধু ইংল্যান্ড শিবিরেই হয়নি বরং খেলা সম্প্রচারকারী চ্যানেলের এক কর্মীও পজিটিভ হয়েছেন৷
এমনিতেও বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া জুড়ে ফের বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। যার কারণে আতঙ্কও সকলের মধ্যে ক্রমেই বাড়ছে। করোনা অতিমারীর কারণে অ্যাসেজ সিরিজের পঞ্চম অর্থাৎ শেষ টেস্টের ভেন্যু পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডের পঞ্চম টেস্ট ডে-নাইট টেস্ট। পঞ্চম টেস্ট খেলা হবে ১৪ জানুয়ারি থেকে৷ প্রথমে এই টেস্ট ম্যাচ পারথে হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় করোনা সংক্রমণের গতি বাড়ার কারণে এই ভ্যেনু বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ ক্রিকেটারদের নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বোর্ড। তবে এরই মধ্যে ইংল্যান্ড দলের অন্দরে কোভিড ১৯-এর হানায় আতঙ্ক কিছুটা বড়েছে। তবে সিরিজ নির্দিষ্ট সূচি মেনেই হবে বলে জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।