
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট (BCCI President) সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের (Sourav Ganguly) পরিবারে একের পর এক করোনা ভাইরাসে হানা লেগেই রয়েছে। সৌরভ নিজে গত ২৭ সেপ্টেম্বর করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ৪ দিন আলিপুরের উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর শরীরে কোনো সমস্য়া না থাকায় ছুটি পেয়েছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। হাসপাতালে ছাড়া পাওয়ার পর সৌরভের ওমিক্রন পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছিল। তা নেগেটিভ ছিল। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সৌরভের পাশে থাকার ও সর্বোতভাবে সাহায্য করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। এবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়া দ্রুত সুস্থতা কামনায় ও খুব শীঘ্রই সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফেরার শুভেচ্ছা জানিয়ে বেহালার বাড়িতে ফল ও হেল্থ ড্রিঙ্কস পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২১ সালের শুরুতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই সময় ও পরে আকেরবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন হার্টে স্টেন্টিং করানোর জন্য। দুবরাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বাদেও রাজ্যের অন্য়ান্য মন্ত্রীরাও গিয়েছিলেন সৌরভকে দেখতে। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস তখনও দিয়েছিলেন। এবার করোনার কারণে দেখতে যেতে না পারলেও, সৌরভ বাড়ি ফিরতেই তার জন্য ফল, হেল্থ ড্রিঙ্ক সহ শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা পুরসভার ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌরভ। কাউন্সিলন সুদীপ পোল্লে নিজে ফল হাতে সৌরভের বাড়িতে উপস্থিত হন। তবে গেটের সামনেই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর হাত থেকে ফল দিয়ে সাজানো ঝুড়ি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ডোনা। সুদীপ পোল্লে জানিয়েছেন, গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার যাতে দ্রুত সেরে ওঠে, সেই প্রার্থনাই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষের দিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি গয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। জ্বর ও সর্দি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও, একদিন পর থেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক (Former Indian Captain)। সৌরভের অন্যান্য সব পরীক্ষার ফল স্বাভাবিক ছিল, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৯৯ শতাংশ। তবে ভর্তির পরই চিকিৎসার জন্য তিন সদস্যের চিকিৎসক দল গঠন করা হয়। সেই দলে ছিলেন সপ্তর্ষি বসু, সরোজ মণ্ডল ও সৌপ্তিক পাণ্ডা। এ ছাড়াও পরামর্শ নেওয়া হয় চিকিৎসক দেবী শেঠি ও আফতাব খানের। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সৌরভের শাীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল ছিল। তবে কোভিডের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা অনুসরণ করা হয়। সৌরভকে মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি দেওয়া হয়। দেওয়া হয় ডক্সি সাইক্লিনও। দেওয়া হয় স্টিম। সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখেন চিকিৎসকরা। সৌরভ ছাড়া পেলে বাড়িতে একাধিক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন। সেই তালিকায় রয়েছে ছোট কাকা, খুড়তুতো ভাই ও ভাতৃ বধূ ও সৌরভের মেয়ে সানাও। তবে সকলেরই শারীরিক অবস্থা একেবারেই স্থিতিশীল। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে রয়েছে।