দেশের হয়ে খেলতে কে চায়! কিন্তু তাঁর কাছে জীবনের দাম অনেক বেশি। নিরাপত্তাজনিত কারণে পাকিস্তান সফর থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিম। তিনি জানিয়েছেন, 'পাকিস্তানে যাচ্ছি না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে তা জানিয়ে দিয়েছি। সরকারিভাবে আমি বোর্ডকে চিঠিও দিয়েছি। বোর্ড তা গ্রহণ করেছে।'
বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর শুরু হতে আর বেশি দেরি নেই। ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে দু'দেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। চলবে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফ্রেুয়ারি ও এপ্রিল মাসের মধ্যে হবে দু'ম্যাচের টেস্ট সিরিজও। ৭ ফ্রেরুয়ারি প্রথম টেস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে, ৫ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্ট করাচিতে। কিন্তু ঘটনা হল, যে দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজে কিংবদন্তী ক্রিকেটার, সেই দেশেই ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে! পরিস্থিতি এমনই যে, নিরাপত্তাজনিত কারণে পাক-সফরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিম। তাঁর সাফ কথা, 'জীবনের থেকে ক্রিকেট বড় নয়। পাকিস্তানের পরিস্থিতি ভালো নয়। আমার পরিবার চিন্তিত। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে গিয়ে ক্রিকেট খেলতে পারব না।' টি-টোয়েন্টি তো বটেই, টেস্টে সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন মুশফিকুর।
আরও পড়ুন: প্রয়াত কিংবদন্তী স্পিনার বাপু নাদকার্নি, শোকের ছায়া ক্রিকেট মহলে
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে পাকিস্তানে খেলতে দিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের হামলা মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দল। এই ঘটনার পর দশ বছর সেদেশের আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আসর বসেনি। বস্তুত, মাস দুয়েক আগে যখন ইমরান খানের দেশে একদিনের সিরিজ খেলতে যায় শ্রীলঙ্কা, তখনও নিরাপত্তার কারণে দলের ১০ জন সিনিয়র ক্রিকেটার সফর থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন। ফলে পাকিস্তানে কার্যত জুনিয়র দল পাঠাতে বাধ্য হয় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও কি একই ঘটনা ঘটবে? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-এর প্রধান নাজিমূল হাসান কিন্তু জানিয়ে দিয়েছেন, দলের কোনও ক্রিকেটার যদি পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি না হন, সেক্ষেত্রে বোর্ড জোর খাটাবে না।