আইপিএলের দ্বিতীয় লেগের প্রথম ম্য়াচেই জয় পেল সিএসকে। প্রথমে ব্যাট করে ১৫৬ রান করে চেন্নাই সুপার কিংস। জবাবে ১৩৬ রানে শেষ হয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংস। জেন নিন ম্য়াচের টার্নিং পয়েন্টগুলি।
কথায় বলে শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। রবিবার মরুদেশে আইরপএলের দ্বিতী লেগের খেলাতেও আরও একবার প্রমাণিত হল এই প্রবাদ। কারণ টস জিতলও এদিন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে শুরুটা ভালো হয়নি চেন্নাই সুপার কিংসের। কারণ শুরুতেই পরপর ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল সিএসকে। সেখান থেকে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে ১৫৬ করান করে চেন্নাই। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১৩৬ রানেই শেষ হয়ে যায় মুম্বইয়ের ইনিংস। ফলে ২০ রান জয় দিয়েই শুরু দ্বিতীয় লেগের শুরু করল সিএসকে তা নয়, উঠে এল লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানে। এদিনের ম্য়াচে কোন কোন টার্নিং পয়েন্টের কারণে খাদের মুখ থেকে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জিতল চেন্নাই, জেনে নিন এক ঝলকে।
ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের অনবদ্য ইনিংস-
টসে জিতে ধোনি ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও, পাওয়ার প্লের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সিএসকে। সেখান একদিক থেকে নিজের উইকেট ধরে রেখে একের পর এক চোখ ধাধানো ক্রিকেটীয় শট খেলতে থাকেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। শুধু ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকাই নয়, শেষ দিকে স্লগ ওভারে রানের ঝড় তোলেন তরুণ ডান হাতি ব্যাটসম্য়না। শেষ পর্যন্ত ৫৮ বলে ৮৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ঋতুরাজ গোয়কোয়াড়। ৯টি চার ও ৪টি ছয়ে সাজানো তার ইনিংস। ঋতুরাজের এই অনবদ্য় ইনিংস ছাড়া ম্যাচ জয় অসম্ভব ছিল চেন্নাইয়ের।
জাদেজা-ঋতুরাজের পার্টনারশিপ-
এক সময় ম্য়াচে ২৪ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। সেই সময় কেউ ভাবতে পারেনি ম্যাচ জিততে পারে সিএসকে। একদিক থেকে ঋতুরাজ গায়কোয়াড় যেমন নিজের ইনিংস চালিয়ে গেছেন ঠিক তেমন মাত্র ২৬ রানের ইনিংস হলেও গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। ঋতুরাজ ও জাদেজা মিলে মোট ৮১ রানের পার্টনারশিপ করেন। যার ফলেই চেন্নাই সুপার কিংসের ইনিংসের শক্ত ভিতরচিত হয়। ফলে জাদেজার ২৬ রানের ইনিংস ও ঋতুরাজের সঙ্গে ৮১ রানের পার্টনরাশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যাটে-বলে ব্রাভো ম্যাজিক-
সিএসকে ইনিংসেকর শেষের দিকে যখন ঝোড়ো রানের দরকার ছিল সেই ঘাটতি ঋতুরাজের সঙ্গে অনেকটাই মেটান ডোয়েইন ব্রাভো। মাত্র ২৩ রানের ইনিংস হলেও, ৮ বলে ৩টি ছয়ে সাজানো এই বিধ্বংসী ইনিংস চেন্নাই সুপার কিংসের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। এছাড়াও বল হাতেও ৩টি উইকেট নিয়ে সিএসকের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন ক্যারেবিয়ান তারকা।
দীপক চাহারের বোলিং-
রান তাড়া করতে নেমে যখ অনবদ্য শুরু করেছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুই ওপেনার কুইন্টন ডিকক ও অনমলপ্রীত সিং। ঠিক সেই সময় পরপর এই দুই ব্যাটসম্যানকে প্যাভেলিয়ন ফিরিয়ে মুম্বই ইনিংসের ভিতটাই নড়িয়ে দিয়ছিলেন দীপক চাহার। দলের প্রয়োজনের সময় সহযোগিতা করতে পেরে খুশি তরুণ ডান হাতি মিডিয়াম পেসার।
ধোনির অধিনায়কত্ব--
আরেক বিষয়ে বলতেই হবে তা হল এমএস ধোনির অধিনায়কত্ব। ক্রিকেটের থেকে দূরত্ব তার ব্যাটে ধার কমালেও, মস্তিষ্কের ধার যে এতটুকু কমেনি তা এদিনের ম্যাচে ফের প্রমাণ করেছেন মাহি। বোলিং চেঞ্জ থেকে ফিল্ডিং সাজানো সব কিছুতেই ফের নিজেক মুনসীআনা দেখিয়েছেন এমএস ধোনি।