
নতুন স্পনসর, নতুন কোচ, নতুন দল, সম্পূর্ণ নতুনভাবে শুরু করলেও মরসুমের প্রথম ম্য়াচে জয় অধরাই থেকে গেল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের। ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্য়াচে ইন্ডিয়া নেভির বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করল স্টিফেন কনস্টেনটাইনের দল। তবে নতুন দলকে খুব একটা তৈরি করার সুযোগ পাননি ব্রিটিশ কোচ। বিদেশীরাও সকলে কেলতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে প্রথম ম্য়াচে ১ পয়েন্ট পেয়ে খুব একটা হতাশ নন লাল-হলুদ কোচ। উল্টে খেলার শুরুতে ও শেষে যে দাপট দেখিয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু অসংখ্য সুযোগ নষ্টের খেসারত দিয়ে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ভিপি সুহের, অঙ্কিত যাদব,অমরজিৎ সিং, অঙ্কিত মুখোপাধ্য়ায়দের। আশার দিক বলতে সচল দুই উইং ও লড়াকু মানসীকতা।
এদিন ম্য়াচের শুরুটা খুব একটা খারাপ করেনি ইমামি ইস্টবেঙ্গল। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণের চাপ বাড়তে থাকে ইন্ডিয়ান নেভির উপর। ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটের ম্যধ্যে ৩ বার গোল করার মত সুযোগ তৈরি করেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু গোলের মুখ খোলনি। ম্যাচের ১১ তম মিনিটে চোটের জন্য মাঠ ছাড়েন ইস্টবেঙ্গলের মহেশ নাওরেম। তার পরিবর্তে নামেন তুহিন দাস। এরপর ম্য়াচে ১৫ মিনিটে অমরজিৎ সিংয়ের শচ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ম্য়াচের ২০ মিনিটেও লাল-হলুদে শট গোলপোস্টেক উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর ময়াচের ৩৫ মিনিট পর্যন্ত আর কয়েকটি আক্রমণ তৈরি করেছিল স্টিফেন কনস্টেনটাইনের দল। এই সময় বেশ চনমনেও লেগেছিল দলকে। তবে কাজের কাজটা হয়নি। এরই মধ্যে দু-একবার লাল-হলুদ রক্ষণকেও সমস্যায় ফেলেছিল নেভির অ্য়াটাকিং লাইন। ম্য়াচের প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্যভাবেই শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে প্রিয় দল গোল পাবে এই আশাতেই ছিলেন ২ বছর পর যুভারতীতে খেলা দেখতে আসা লাল-হলুদ সমর্থকরা। ম্য়াচে ৫২ মিনিটে কর্ণার পায় ইস্টবেঙ্গল। সুহেরের কর্মারে সুবিধা করতে পারেননি অ্যালেক্স লিমা। ৫৩ মিনিটে দুর্ধর্ষ শট নেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক সুমিত পাসির। দ্বিতীয় পোস্টে লেগে বল বেরিয়ে যায়। ফুটবল দেবতা এবারও সহায় হয়নি কনস্টেনটাইনের দলের। দ্বিতীয় একসঙ্গে জোড়া পরিবর্তন করেন লাল-হলুদ কোচ। মাঠে নামেন মহীতোষ এবং শুভাশিস। ম্য়াচের ৭৪ তম মিনিটে সবথেকে সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন সুমিত। গোলকিপারকে একা পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেননি। ৮২ মিনিটে তুহিনের দুর্দান্ত পাসে পাসি ও সুহের বলে পা ঠেকাতে পারলেই ছিল গোল। কিন্তু তা মিস হয়। এরপর শেষের দিকে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ খোলেনি। ম্য়াচে ডিফেন্সে ফাঁকফোকর, মাঝমাঠে বোঝাপড়ার অভাব থেকে আক্রমণে ঝুরি ঝুরি মিস। প্রথম ম্য়াচ ১ পয়েন্ট ঘরে আসলেও ইমামি ইস্টবেঙ্গলের ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্টেনটাইনকে অনেক খাটতে হবে এটা নিশ্চিৎ।