
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। সেই সিদ্ধান্তই বুমেরাং হয়ে যাবে না তো? কারণ আইপিএল ২০২১-এর মেগা ফাইনালে টস হারলেও, অনবদ্য ব্য়াটিং করল এমএস ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। ফাফ ডুপ্লেসি, রুতুরাজ গায়োকোয়াড়, রবিন উথাপ্পা, মঈণ আলিদের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ১৯২ রানের বিশাল স্কোর করল সিএসকে। চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রানে ইনিংস খেলেন ডুপ্লেসি। কেকেআর হয়ে সুনীল নারিন ছাড়া এদিন কেউ তেমন দাগ কাটতে পারেননি। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন নারিন।
ফাইনালে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ইনিংস শুরু করেন সিএসকের দুই ওপেনার ফাফ ডুপ্লেসি ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। বাজে শট না কেলে সিলেক্টেড শটে একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মারতে থাকেন দুই সিএসকে ওপেনার। ওপেনিং জুটিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন ডুপ্লেসি ও ঋতুরাজ। ৬১ রানে প্রথম উইকেট পড়ে সিএসকের। ৩২ রান করে সুনীল নারিনের বলে আউট হন ঋতুরাজ। এরপর ক্রিজে এসেই মারকাটারি ব্যাটিং শুরু করেন প্লে অফে সিএসকের অন্যতম তারকা রবিন উথাপ্পা। অপর দিক থেকে নিজের ইনিমংসও চালিয়ে যান ডুপ্লেসি। অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। ৬৩ রানের পার্টনারশিপ করেন ডুপ্লেসি ও রবিন। ১৫ বলে ৩১ রান নারিনের শিকার হন উথাপ্পা।
দল শক্তি ভিতের উপর দাঁড়িয়ে পড়ায় মঈন আলিও এসে ঝোড়ো ব্য়াটিং শুরু করেন। ডুপ্লেসিও আক্রমণের মাত্রা বাড়াতে থাকে। নারিন ছাড়া কোনও বোলারই এদিন দাগ কাটতে পারেনি। ৬৮ রানের পার্টনারশিপ করেন ডুপ্লেসি ও মঈন আলি। শেষের দিকে একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে কার্যত নাজেহাল দেখায় বরুণ চক্রবর্তী, শাকিব আল হাসান, লকি ফার্গুসন, শিবম মাভিদের। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৯২ রানের পাহাড় প্রমাণ স্কোর করে চেন্নাই সুপার কিংস। ইনিংসের শেষ বলে ৮৬ রান করে আউট হন ডুপ্লেসি। উইকেট পান শিবম মাভি। ২০ বলে ৩৭ করে অপরাজিত থাকেন মঈন আলি। তৃতীয় আইপিএল ট্রফি জয়ের জন্য কেকেআরের টার্গেট ১৯৩ রান।