টি২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup) পর নিউজিল্যান্ডের (New Zealand)বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলবে ভারতীয় দল (Indian team)। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) সফরে যাবে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। সেখানে প্রথম টেস্টের ভেন্যু পরিবর্তন করা হল।
টি২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup) পর ঠাসা ক্রীড়া সূচি রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট (Indian Cricket Team)দলের। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) বিরুদ্ধে ৩ ম্য়াচের টি২০ ম্য়াচের সিরিজ ও ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। তারপরই দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)সফরে যাবে ভারতীয় দল (Indian Team)। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩টি টেস্ট, ৩টি এদিনের ম্য়াচ ও ৪টি টি২০ ম্যাচ খেলবে মেন ইন্ ব্লরা। ভারতের বিরদ্ধে হোম সিরিজ খেলা নিয়ে খুবই উৎসাহিত রয়েছে প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ড। ৩০ বছর আগে নির্বাসন কাটিয়ে ভারতের বিরুদ্ধেই টেস্ট সিরিজ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কামব্যাক করেছিল প্রোটিয়া বাহিনী। তবে সুচি প্রকাশের কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাতে কিছুটা রদবদল করল দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড।
প্রথমে যে সূচি প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্টের ভেন্যু ছিল জোহানেসবার্গ। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যান্য শহরগুলির তুলনায় জোহানেসবার্গের কোভিড বিধি অনেক কঠোর। ফলে সেই কারণেই জোহানেস বার্গে প্রথম টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েও পরে তাবাতিল করে। করোনার কারণে আগামি ডিসেম্বরেও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে বায়ো বাবলের মধ্যে থেকেই খেলতে হবে ভারতীয় দলকে। বায়ো বাবল জীবন নিয়ে অনেকবারই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ক্রিকেটাররা। তাই কিছুটা সিথিল নিয়মের কথা ভেবেই বদলানো হয়েছে প্রথম টেস্টের ভেন্যু। তবে সিরিজ নিয়ে প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছেন,'ভারতকে (Team India) স্বাগত জানাতে মুখিয়ে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কামব্যাক করে প্রথমবার ভারতের মাটিতেই টেস্ট খেলেছিল প্রোটিয়া দল। সেই ইতিহাসের ৩০ বছরের পূর্তি। তাই নিঃসন্দেহে আসন্ন টেস্ট সিরিজ স্মরণীয় হতে চলেছে।'
জোহানেসবার্গের বদলে প্রথম টেস্ট খেলা হবে কেপ টাউনে। ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর হবে প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট অর্থাৎ বক্সিং ডে ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর হবে সেঞ্চুরিয়ানে। তৃতীয় টেস্টও হবে কেপ টাউনে। খেলা হবে ৩ থেকে ৭ জানুয়ারি। তিনটি ওয়ানডে হবে ১১, ১৪ এবং ১৬ জানুয়ারি। চারটি টি-টোয়েন্টি হবে যথাক্রমে ১৯, ২১, ২৩ ও ২৬ জানুয়ারি। করোনা অতিমারীর শুরুতে ২০২০ সালে ভারতের মাটিতে বাতিল হয়ে গিয়েছিল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ। তারপর থেকে আর কোনও দ্বি-দেশীয় সিরিজে মখোমুখি হয়নি দুই দল। তাই এই সিরিজকে ঘিরে প্রত্যাশা রয়েছে দই দেশের ক্রিকেটার থেকে ভক্তদের মধ্যে।