ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team) কোচ হিসেবে মেয়াদ শেষ হয়েছে রবি শাস্ত্রীর (Ravi Shastri)। তারপর কী করবেন তা জানার জন্য কৌতহুল ছিল সকলের মধ্যে। ক্রিকেট থেকে দূরে যেতে পারলেন না প্রাক্তন ভারতীয় কোচ (Former Indian Coach)। নতুন দায়িত্ব নিলেন রবি শাস্ত্রী।
টি২০ বিশ্বকাপে (T20 World Cup)নামিবিয়া ম্য়াচের পরই ভারতীয় দলের বর্তমান থেকে প্রাক্তন কোচের তকমাটা পেয়ে গিয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)। বিদায় বেলায় আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিগত ৫ বছরের বছরে তার কোচিংয়ে এই ভারতীয় দল (Indian Team)যে বিশ্বসেরা হয়ে উঠেছে তা অকপটভাবে বলেছিলেন শাস্ত্রী। একইসঙ্গে ছেলেদের পরিশ্রম ও সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। তবে এবার রবি শাস্ত্রী কী করবেন,তা জানার কৌতুহল কোচ হিসেবে মেয়াদ শেষের পর থেকেই ছিল সকলের মধ্যে। রবি শাস্ত্রী নিজে অবশ্য জানিয়েছিলেন ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান। আইপিএলের নতুন দল সিভিসি ক্যাপিটালের (CVS Capital) কোচ হওয়ার প্রস্তাবও ছিল শাস্ত্রীর কাছে। তবে সকলকে বেশি দিন প্রতীক্ষা না করিয়ে নতুন দায়িত্ব নিয়ে নিলেন সদ্য প্রাক্তন কোচ।
যেমনটা ইচ্ছে প্রকাশ করছিলে রবি শাস্ত্রী,ঠিক তেমনটাই করলেন তিনি। ক্রিকেটের সঙ্গে আরও একবার নিজেকে জুড়ে দিলেন তিনি। লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটের (Legends League cricket) কমিশনার (commissioner ) হিসেবে হলেন রবি শাস্ত্রী। সোমবার লিগের তরফেই এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। রোড সেফটি ওয়ার্লড সিরিজের মতই লেজেন্ডস ক্রিকেট লিগে অংশ নেবেন বিশ্বের নামকরা প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হচ্ছে লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটের প্রথম মরসুম। প্রথণ বছর তিনটি দলেক নিয়ে শুরু হবে প্রতিযোগিতা। থাকছে ভারত একাদশ (India XI), এশিয়া একাদশ (Asia XI) ও বিশ্ব একাদশ (World XI)। লিগের কমিশনার হিসেবে যুক্ত হয়ে রবি শাস্ত্রী জানিয়েছেন,'ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারায় ভাল লাগছে। বিশেষ করে কিংবদন্তিদের সান্নিধ্যে আসা যাবে ভেবে আরওই আনন্দ হচ্ছে। তাঁদের আর কিছু প্রমাণ করার নেই। তবে ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার এত বছর পরও তাঁরা কীভাবে লিগ জমিয়ে দেন, তা দেখতেই মুখিয়ে রয়েছি। দারুণ একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি এই লিগের ভবিষ্য়ৎ উজ্জ্বল।' আমার হাত ধরে এই লিগের কোনও উন্নতি হলে ভালো লাগবে বলেও জানিয়েছেন শাস্ত্রী।
প্রসঙ্গত, রবি শাস্ত্রীর কোচিংয়ে ভারত ৪৩টি টেস্ট খেলেছে। যার মধ্যে ২৫টিতে জয় পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। ১৩টি ম্যাচ হেরেছে। ৫টি ড্র হয়েছে। কোচ শাস্ত্রীর অধীনে ৭৬টি ম্যাচ একদিনের ম্যাচ খেলে ৫১টি জিতেছে ভারত। ২২টি ম্যাচ হেরেছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ক্ষেত্রে আবার তাঁর কোচিংয়ে ৬৫টি ম্যাচ খেলে ৪৩টি ম্যাচ জিতেছে ভারত। ১৮টি ম্যাচ হেরেছেন কোহলিরা। সব মিলিয়ে তাঁর সময় কালে মোট ১৮৪টি ম্যাচের মধ্যে ভারত ১১৯টি ম্যাচই জিতেছে ভারত। ৫৩টি ম্যাচ হেরেছে। ৫টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।