বৃহস্পতিবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বুকে স্টেন্ট বসানোর পর দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন সৌরভ, জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সৌরভকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ায নিয়েও শুরু হয়েছে রৈজনিতর তরজাও। কটাক্ষের সুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন, 'ছবি তোলার জন্য হাপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী'। আর শুক্রবার বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সৌরভের শারীরিক অবস্থা নিয়ে মন্তব্য করাপ পাশপাশি রাজনৈতিরক বক্তব্য এড়াতে পারলেন তিনিও।
শুক্রবার সস্ত্রীক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সৌরভ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান রাজ্যপাল। তিনি বলেন, দাদার শারীরিক পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক স্বাভাবিক রয়েছে। দাদা আমাদের দেখে সন্তুষ্ট। কথাও বলেছেন আমাদের সঙ্গে। সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন তিনি।' সৌরভের গঙ্গোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা দেখে তিনি যে একেবারে সন্তুষ্ট সেই কথাও জানিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। এর আগে জানুয়ারির মাসের শুরুতেও যখন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অসুস্থ হয়েছিলেন তখনও হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল।
তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে গিয়ে রাজনৈতিক মন্তব্য থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সৌরভকে দেখে বেরিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য পাল বলেন, 'দাদা ভাল আছেন, তবে রাজ্যের পরিস্থিতি ভালো নেই। রাজ্যপাল সংবিধানের গণ্ডির মধ্যে থেকেই কাজ করবে। মুখ্যমন্ত্রীকেও নিজের গণ্ডিতে থাকতে হবে। তিনিও নিজের পদের মর্যাদা লঙ্ঘন করবেন না বলেই আশা রাখব। ২০২১ সালে বাংলার ছবি বদলাতে হবে। এতদিন ধরে নির্বাচন এলেই বাংলার মানুষ দুশ্চিন্তায় ভুগত। ২০১৮, ২০১৯ সালে যে পরিমাণ হিংসা হয়েছে তা নিন্দনীয়। পুলিস আধিকারীদের বিনীত নিবেদন করব, আপনারা রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থাকুন। আশা করব আপনারা আমার কথা রাখবেন।' সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে গিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য করায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছে শাসক দল।