রবিবার কলকাতায় ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড (India vs New Zealand) টি২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্য়াচের আগের দিনই শহরে চলে এল দুই দল। ইডেনে গিয়ে পিচ পরীক্ষা করলেন রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)।
ইডেনে এর আগে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে বহুবার এসেছেন। ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে সেই ঐতিহাসিক টেস্টে লক্ষ্মণের (VVS Laxman) ভেরি ভেরি স্পেশাল ২৮১ রানের পাশে ছিল তাঁর ১৮০ রানের ইনিংস। সেই দিনের নায়ক আবার ২০০৫ সালে এই ইডেনেই এসেছিলেন ভিলেন হয়ে। কারণ ঘরের ছেলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly), বাদ পড়েছিলেন তাঁর নেতৃত্বে। দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) পক্ষে ইডেনের গলা ফাটানো শুনে বলতে হয়েছিল, 'মনে হচ্ছিল বিদেশে খেলছি'। এরকম বহু ঘটনা পেরিয়ে, শনিবারের (২০ নভেম্বর) বারবেলায় আরও একবার ইডেনের মাঠে পা রাখলেন রাহুল শরদ দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। গায়ে সেই ভারতীয় জার্সি, তবে তা খেলোয়াড়ের নয় কোচের।
রবিবার, ইডেনেই টি২০আই সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। (India vs New Zealand, 3rd T20I) জয়পুর (Jaipur) ও রাঁচিতে (Ranchi) পরপর দুই ম্যাচে জিতে, ভারত ইতিমধ্যেই সিরিজ পকেটে পুরে নিয়েছে। ইডেনে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে, ভারতীয় ক্রিকেটে রোহিত শর্মা-রাহুল দ্রাবিড় (Rohit Sharma-Rahul Dravid) জুটির পথ চলার শুরুটা দুর্দান্তভাবে হতে পারে।
দেখে নেওয়া যাক, দুই দলের শহরে পা রাখার মুহূর্তটি -
শনিবার দুপুরেই রাঁচি থেকে বিশেষ বিমানে দুই দল একসঙ্গেই আসে কলকাতায়। প্রথমে একে একে বাইরে আসেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) সদস্যরা। তারপর ব্ল্যাকক্যাপস (Blackcaps) বাহিনী। বিমানবন্দর থেকে টিম বাসে করে সোজা হোটেলে চলে যায় দুই দল। কিউই ক্রিকেটারদের দেখা যায়, মোবাইল ক্যাামেরার শহরের স্মৃতি ধরে রাখতে। পরে বিকেলে দুই দলই ইডেনে নেট অনুশীলন করেছে।
ম্যাচের আগের দিন, রণভূমি পরীক্ষা করে দেখেছেন কোচ দ্রাবিড়
তবে হোটেল থেকে সবার আগে ইডেন গার্ডেন্সে চলে আসেন ভারতীয় দলের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়। আর বহু স্মৃতি বিজড়িত ইডেনে পা রেখেই সোজা চলে যান পিচ পরিদর্শনে। সঙ্গে ছিলেন ইডেন গার্ডেন্সের প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় (Sujan Mukherjee) এবং ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর (Vikram Rathore)। দ্রাবিড়কে রীতিমতো ঝুঁকে পড়ে পিচে হাত দিয়ে রণভূমি পরীক্ষা করতে দেখা যায়। তিন জনে বেশ খানিক্ষণ কথা বলেন।
তাহলে কেমন হল ইডেনের পিচ? সুজন মুখোপাধ্যায় বলেছেন, 'এটা হার্ড পিচ, তাই বল সহজে ব্যাটে আসবে। আশা করছি কোনও একটি দল তো ১৬০-এর উপরে স্কোর করবেই।'