ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টেস্ট হওয়ার আগেই নানা বিতর্ক জড়িয়েছে ব্রিসবেন। কখনও করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের কারণে লকডাউন, কখনও আবার অতি কঠোর কোয়ারেন্টাইন বা বায়ো বাবলের নিয়মাবলী। যেই কারণে ব্রিসবেনে প্রথমে টেস্ট খেলতে যাওয়ায় আপত্তি করেছিল বিসিসিঈআই। যদিও শেষ পর্যন্ত ভারতীয় দল যেতে রাজি হওয়ায় সম্মতি দেয় বিসিসিআই। কিন্তু ব্রিসবেনে গিয়ে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। অবব্যবস্থার চূড়ান্ত বললেও কিছু ভুল হবে না।
গাব্বা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে যেই হোটেলে থাকতে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় দলকে তার পুরোটাই ফাঁকা। যাকে জেলখানার সঙ্গে তুলনা করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। গোটা হোটেল ফাঁকা থাকলেও ঘরের বাইরে বেরোতে পারছেন রোহিত, রাহানে, অশ্বিনরা। বন্ধ করে রাখা রয়েছে জিম, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং সুইমিং পুলও। পাঁচতারা বলা হলেও, হোটেলের ব্যবস্থাও অত্যন্ত নিম্নমানের। ভারতীয় দলের এক সদস্যের কথায়,'আমরা ঘরে বন্দি হয়ে রয়েছি। আমাদের নিজেদেরই সব কাজ করতে হচ্ছে। শৌচাগার পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে বিছানা পরিষ্কার, সব আমরা করছি। কাছাকাছি একটা ভারতীয় রেস্তোরাঁ থেকে খাবার আসছে। সেটা আমরা যে ফ্লোরে রয়েছি, সেখানে দিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফ্লোরের বাইরে আমাদের বেরতে দেওয়া হচ্ছে না। মনে হচ্ছে আমরা জেলে আছি।' অনেক ক্রিকেটারই পরিবার নিয়ে গিয়েছেন। সেখানে হাউস হেল্প, সাফাইকর্মী ইত্যাদি না থাকায় খুবই বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় তারকারা। গোটা ব্যবস্থা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ গোটা ভারতীয় দল।
ভারতীয় দলকে এমন চরম অব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হওয়ায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বাধ্য হয়ে অসুস্থতার মধ্যেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে সৌরভ বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। অজি ক্রিকেট বোর্ডকে ফোন করে গোটা ঘটনার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে বিসিসিআইয়ের তরফে। যদিও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে খুব শীঘ্রই অবস্থার পরিবর্তন হবে। এমন পরিস্থিতি থাকবে না। কিন্তু ভারতীয় দলের এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিসিসিআই কর্তারাও।