এজবাস্টন টেস্টে (Edgbaston Test) ইংল্যান্ডের কাছে হার ভারতের (India vs England)। জো রুট (Joe Root) ও জনি বেয়ারস্টোর (Jonny Bairstow) জোড়া শতরানে ভর কর ভারতকে ৭ উইকেটে হারাল বেন স্টোকসের দল। ২-২ সমতায় শেষ হল গত বছরের অসমাপ্ত সিরিজ ।
চতুর্থ দিনের শেষেই এজাস্টন টেস্টের ভাগ্য অনেকটাই নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল। জো রুট ও জনি বেয়ারস্টোর পার্টনারশিপ ম্যাচের রাশ ভারতের হাত থেকে কেড়ে নিয়েছিল। পঞ্চম দিনে বাকি ছিল শুধু নিয়মরক্ষা টিকি। আদতে হলও তাই। শেষ টেস্টের শেষ দিনে ভারতকে সহজে হারিয়ে জয় পেল বেন স্টোকসের দল। জো রুট ও জনি বেয়ারস্টোর জোড়া শতরানে ভর করে ভারতকে ৭ উইকেটে হারাল ইংল্যান্ড। চতুর্থ দিনে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১১৯ রান। হাতে ছিল সাত উইকেট। ক্রিজে দুই সেট ব্য়াটসম্য়ান। ফলে ভারতীয় বোলিংয়ে কার্যত দুর্মুষ করে প্রথম সেশনেই খেলা শেষ করে দিলেন ব্রিটিশ তারকা। ২৭১ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে সহজ জয় এনে দিলেন রুট ও বেয়ারস্টো। ১৩২ রানে অপরজিত রুট ও ১১৪ রানে অপরাজিত বেয়ারস্টো। এউ জয়ের ফলে গত বছরের অসমাপ্ত টেস্ট সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ হল।
২৫৯ রানে ৩ উইকেট থেকে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করেন রুট ও বেয়ারস্টো। ৭৬ রানে অপরাজিত ছিলেন রুট ও ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন বেয়ারস্টো। ঠিক যেখানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছিলেন দুই ব্রিটিশ তারকা ঠিক সেখান থেকেই শেষ দিন খেলা শুরু করেন। দেখে মনেই হয়নি মাঝের কয়েকটা ঘণ্টা তারা মাঠের বাইরে ছিলেন। পঞ্চম দিনের সকাল থেকে অনেক বেশি আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে দেখা যায় তাদের। দেখে মনে হতেই পারে তারা যেন নেট প্র্যাকটিস করছেন। ভারতীয় বোলাররা সেভাবে তাদের কোও সমস্যাতেই ফেলতে পারেনি। একের পর এক শট অবলীলায় খেলেন জো রুটি ও জনি বেয়ারস্টো। নিজেদের শতরানও পূরণ করে ফেলেন তারা। শেষে পর্যন্ত সহজেই তারা দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে দেন।
প্রসঙ্গত, এজবাস্টন টেস্টে প্রথম তিন দিন চালকের আসনে ছল ভারতীয় ক্রিকেট দল। ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়র বেন স্টোক। প্রথমে ম্যাচে ব্যাট করে একসময় ৯৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুকছিল। সেই সময় সময় দলকে বিপদ থেকে টেনে তোলেন ঋষভ পন্থ ও রবীন্দ্র জাদেজা। তাদের ২২২ রানের পার্টনারশিপ ও জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৪১৬ রান করে ভারত। প্রথম ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে ২৮৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্য়ান্ড। শতরান করে একা লড়াই করেন জনি বেয়ারস্টো। প্রথম ইনিংসে ১৩২ রানের লিড ভারতকে অতিরিক্ত আত্মতুষ্টি এনে দেয় কিনা সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। কারণ দ্বিতীয় ইনিংসে বড় স্কোর করতে পারলে যেখানে ব্রিটিশরা ম্য়াচ থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারত, সেখানে ভারত মাত্র ২৪৫ রান করেষ পুজারা ৬৬ ও পন্থ ৫৭ রান করেন। ৩৭৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথমে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার অ্যালেক্স লিস ও জ্যাক ক্রাউলি শতরানের পার্টনারশিপ করেন। এরপরপর ৩টি উইকেট পড়লেও ফের চাপ বাড়ি ইংল্য়ান্ডের উপর। সেখানে রুট-বেয়ারস্টো জুটি দলকে জয় এনে দেন। ইংল্য়ান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে এটাই সবথেকে বড় রান চেজ করে জয়।