আজ কমনওয়েলথ গেমসে (Commnwealth Games 2022) ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তানের (India vs Pakistan) মেগা ফাইট। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ৯৯ রানে অলআউট হয়ে গেল বিসমাহ মাহরুফের দল। জবাবে ৮ উইকেট জয় পায় ভারত।
কমনওয়েলথ গেমস ২০২২ ক্রিকেটে দুরন্তভাবে ঘুড়ে দাঁড়াল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। প্রথম ম্যাচে অজিদের বিরুদ্ধে হারলেও দ্বিতীয় ম্য়াচে চিরপ্রতীদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে এক তরফা ম্যাচে হারাল হরমনপ্রীত কউরের দল। প্রথমে বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করার পর ব্য়াট হাতে অনবদ্য মহিলা টিম ইন্ডিয়া। ৮ উইকেটে জয় পেল বারত। বৃষ্টি বিঘ্নিত ১৮ ওভারের ম্য়াচে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক দল। নির্ধারিত ১৮ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ৯৯ রান করে পাকিস্তান। পাক দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন মুনিবা আলি। এছাড়া ১৮ রান করেন আলিয়া রিয়াজ ও ১৭ রান করেন বিসমাহ মাহরুফ। তিনটি রান আউট হয় পাক দলে। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন স্নেহ রানা ও রাধা যাদব। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন রেণুকা সিং, মেঘনা সিং ও শেফালি ভার্মা। রান তাড়া করতে ৬ ওভার ২ বল বাকি থাকতেই মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন স্মৃতি মন্ধনা। এছাড়া ১৬ রান করেন শেফালি ভার্মা ও ১৪ রান করেন সাবহিনেনি মেঘনা। জয়ে ফিরে খুশি ভারতীয় মহিলা দল।
এদিন ইনিসের শুরুতে ০ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। খাতা না খুলেই মেঘনা সিংয়ের বলে আউট ইরম জাভেদ। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন মুনিবা আলি ও বিসমাহ মাহরুফ। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও গড়েন তারা। ৫০ রানেই দ্বিতীয় উইকেট পড়ে পাকিস্তানের। ব্যক্তিগত ১৭ রান করে স্নেহ রানার বলে আউট হন বিসমাহ মাহরুফ। পার্টনারশিপ ভাঙতেই সাজঘরে ফেরেন মুনিবাও আলি। ৫১ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে পাকিস্তানের। ৩২ রান করে স্নেহ রানার বলে আউট হন তিনি। এরপর আর কোনও বড় পার্টনারশিপ গড়ে ওঠেনি। ৬৪ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন হয়। ১০ রান করে রেণুকা সিংয়ের বলে আউট হন আয়েশা নাসিম। তরপর ৮০ রানে পড়ে পঞ্চম উইকেট। ওমেইমা সোহেল ১০ রান করে রান আউট হন। আলিয়া রিয়াজ কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করলেও বেশি বড় স্কোর করতে পারেননি। ৯৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে। ১৮ রান করে রান আউট হন আলিয়া রিয়াজ। এরপর ৯৭ রানে পড়ে সপ্তম উইকেট। ৮ রান করে ফতেমা সানা আউট হন শেফালি ভার্মার বলে। ৯৭ রানেই অষ্টম উইকেট পড়ে পাকিস্কানের। খাতা না খুলে রাধা যাদবের বলে আউট হন ডায়না বেইগ। এরপর ৯৯ রানে পরপর দুটি উইকেট পড়ে ও অলআউট হয় পাকিস্তান। শূন্য রানে রান আউট হন তুবা হাসান ও ২ রান করে রাধা যাদবের বলে আউট হন কাইনাত ইমতিয়াজ।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুরন্ত করেন দুই ভারতীয় ওপেনার স্মৃতি মন্ধনা ও শেফালি ভার্মা। বিশেষ করে এদিন বিধ্বংসী মেজাজে পাওয়া যায় স্মৃতি মন্ধনাকে। প্রথম থেকেই একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলতে দেখা যায় তাকে। ছোট হলেও ঝোড়়ো ইনিংস খেলে শেফালিও। একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মেরে পাকিস্তান বোলারদের কোনও সুযোগই দেননি দুই ভারতীয় ওপেনার। পাওয়ারর প্লে শেষ হওয়ার আগেই অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন দুই ভারতীয় ওপেনার। ৬১ রানে প্রথম উইকেট পড়ে ভারতের। ১৬ রান করে তুবা হাসানের বলে আউট হন শেফালি ভার্মা। এরপর স্মৃতি মন্ধনাকে সঙ্গ দেন সাবহেনেনি মেঘনা। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন তিনি। ৯৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ১৪ রান করে ওমেইমা সোহেলের বলে আউট হন সাবহেনেনি মেঘনা। শেষ পর্যন্ত ১১ ওভার ৪ বলে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় ভারত। ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন স্মৃতি মন্ধনা ও ২ রানে অপরাজিত থাকেন ২ রানে।