ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে দুই দলের মধ্যে। বিরাট কোহলির (Virat Kohli)দলের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ ১৭৪ রানে। ডিন এলগারের (Dean Elgar) দলের টার্গেট ৩০৪ রান। চতুর্থ দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৯৪ রানে ৪ উইকেট। পঞ্চম দিনে সেঞ্চুরিয়নে বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে।
পঞ্চম দিনে সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে (Centurion Test) হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেট প্রেমিরা। ম্য়াচে দুই দলের কাছেই রয়েছে জয়ের সুযোগ। ভারতের (India) দেওয়া ৩০৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa)স্কোর ৯৪ রানে ৪ উইকেট। ক্রিজে রয়েছেন সেট ব্যাটসম্য়ান ডিন এলগার (Dean Elgar)। চতুর্থ দিনেই নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেছিলেন তিনি। এছাড়া এখনও রয়েছে টেম্বা বাভুমা, কুইন্টন ডি ককের মত তারকা ব্যাটসম্যান। ফলে উইকেটে টিকে থাকতে পারলে জয়ের হাতছানি রয়েছে প্রোটিয়া ব্রিগেডের সামনে। অপরদিকে, সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য় ভারতীয় দলের (Indian Team)দরকার ৬ উইকেট। কিন্তু এই সব কিছুর মধ্যে সেঞ্চুরিয়ন টেস্টটের শেষ দিনে রয়েছে বৃষ্টির ভ্রুকুটি। যা খেলায় কতটা বাধা হয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
সেঞ্চুরিয়নে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিং ডে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের পুরো খেলা ইতিমধ্যেই ভেস্তে গিয়েছে বৃষ্টির জন্য। তৃতীয় দিনও বৃষ্টির ভ্রুকুটি ছিল। তবে খেলায় কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু খেলা শুরুর আগে হাওয়া অফিস যে রিপোর্ট দিয়েছিল তাতে চতুর্থ দিন ও পঞ্চম দিন কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অ্য়াকুওয়েদারের মতে, পঞ্চম দিনে লাঞ্চের পরবর্তী সেশনে বৃষ্টি হওয়ার ৬৫ শতাংশ সম্ভবনা তো রয়েইছে। উপরন্তু, বজ্র বিদুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও ৩৯ শতাংশ। ফলে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী লাঞ্চের আগেই ৬ উইকেট তুলে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে ভারতীয় দলকে। এমন উত্তেজক ম্যাচের শেষদিনের খেললা বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গেলে স্বভাবতই হতাশ হবেন ক্রিকেট প্রেমিরা।
প্রসঙ্গত, বক্সিং ডে টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ওপেনিংয়ে দুরন্ত ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার কেএল রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল। কেএল রাহুলের ১২৩, মায়াঙ্ক আগরওয়ালের ৬০, অজিঙ্কে রাহানের ৬০ ও বিরাট কোহলির ৩৫ রানের সৌজন্যে ৩২৭ রান করে ভারত। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিডি। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ইনিংসে নিয়মতি ব্যবধান উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। টেম্বা বাভুমরা অর্ধশতরান ছাড়া কেউ বড় রান করতে পারেনি। ১৯৭ রানে শেষ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নান মহম্মদ শামি। প্রথম ইনিংসে মহামূল্যবান ১৩০ রানের লিড পায় ভারতীয় দল। দ্বিতীয় ইনিমসে প্রোটিয়া পেস অ্যাটাকের সামনে ১৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় দল। সর্বোচ্চ ৩৪ করেন ঋষভ পন্থ। প্রোটিয়াদের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাডা ও মার্কো জানসেন। এছাড়া ২টি উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিডি। চতুর্থ দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৯৪ রানে ৪ উইকেট।