তিন টেস্টর সিরিজ। প্রথম টেস্টের প্রথম দিন ভারতীয় দল যখন দাপুটে ব্যাটি করছে, তখন বৃষ্টির জন্য তৃতীয় সেশন খেলাই হল না। অনেকের মনেই তখন একটা আশঙ্কা, বৃষ্টিতে ম্যাচটা পন্ড হবে না তো? নাহ আর বৃষ্টি হয়নি। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করেছিল। জোড়া শতরান এসেছিলেন প্রোটিয়া শিবির থেকে। তখনও অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের মনে হয়েছিল, ভারত ম্যাচটা জিততে পারেব তো? সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গেল প্রথম টেস্টের শেষ দিনের প্রথম সেশন। জাদেজা সামি যুগলবন্দিতে প্রোটিয়াসদের সব লড়াই শেষ। শেষ দিন জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ৩৮৪ রান। হাতে ছিল ৯ উইকেট। কিন্তু শেষ দিন লাঞ্চের আগেই আট উইকেট পড়ে গেল ডুল্পেসির দলের। স্কোর বোর্ডে যোগ হল মাত্র ১০৬ রান।
আরও পড়ুন - নতুন মেন্টর ডেভিড হাসি, বোলিং কোচ মিলস, বদলে যাচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স
শেষ দিন টিম ইন্ডিায় ও জয়ের মাঝে প্রাচীর তুলতে পারতেন দুজন। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি ও উইকেট কিপার কুইন্টন ডি’কক। কিন্তু মহম্মদ সামি ঘায়েল করে দিলেন দুই তারকাকে। টেম্বা বাভুমা, ফাফ ডুপ্লেসি ও কুইন্টন ডি’ককের উইকেট উড়িয়ে সামি জয়ের রাস্তা পরিস্কার করে দিলেন। অশ্বিন-জাদেজা দাপটের মাঝেও নিজের ছাপ রেখে গেলেন সামি।
আরও পড়ুন - লন্ডনে সফল অস্ত্রপচার হার্দিকের, মাঠে ফিরতে লাগবে প্রায় পাঁচ মাস
শেষ দিনের প্রথম উইকেট নিয়ে অশ্বিন পা রাখলেন ৩৫০ উইকেটের কোটায়। মুরলীধরনের সঙ্গে খন এক আসনে অশ্নিন। সব থেকে কম টেস্টে ৩৫০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন দুজন। ৬৬ টেস্টে ৩৫০ উইকেট দুই অফ স্পিনারের। তবে এদিন অশ্বিন নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের ভেলকি দেখালেন জাড্ডু। শনিবার একটি উইকেট নেওয়ার পর রবিবার আরও উইকেট এল জাদেজার ঝুলিতে। আট উইকেট পরার পর দক্ষিণ আফ্রিকার দুই বোলার মুত্থুস্বামী ও ডেন পিয়েড কিছুটা লড়াই করলেন বটে। কিন্তু সেটা ম্যাচ বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। ভারত ম্যাচ জিতে নিল ২০৩ রানে। পাঁচ উইকেট নিলেন সামি। ৪ উইকেট জাদেজার।
আরও পড়ুন - কড়া ভাষায় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমালোচনা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের