আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালস (KK vs RR)। প্রথমে ব্য়াট করে ১৫২ রান করল রাজস্থান রয়্যালস। রান তাড়া করতে নেমে নীতিশ রানা, রিঙ্কু সিং ও নীতিশ রানা ব্য়াটে ভর করে জয় পেল কেকেআর।
টানা ৫ ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের স্বাদ পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম পর্বের হারের বদলা নিয়ে রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে জয়ে ফির কেকেআর। ম্য়াচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়কর শ্রেয়স আইয়র। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে রান করে রাজস্থান রয়্যালস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ বলে ৫৪ রান করেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। এছাড়া ১৩ বলে ২৭ রান করেন শিমরন হেটমায়ার। ২২ রান করেন জস বাটলার। কেকেআরের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন টিম সাউদি। রান তাড়া করতে নেমে ১৯ ওভার ১ বলেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যা নাইটরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন নীতিশ রানা। এছাড়া ৪২ রান করেন রিঙ্কু সিং ও ৩৪ রান করেন শ্রেয়স আইয়র। জয়ে ফিরে খুশি কেকেআর শিবির।
টস হেরে ব্য়াট করতে নেমে এদিন শুরুটা ভালো হয়নি রাজস্থান রয়্যালসের। অনেক ধীরে শুরু করেন জস বাটলার ও দেবদূত পাড়িকল। দলের ৭ রানে ২ রান করে উমেশ যাদবের বলে আউট হন পাড়িকল। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ও জস বাটলার। ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড। ৪৮ রানের পার্টনারশিপ করার পর ভাঙে জুটি। ৫৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে রাজস্থানের। ২২ রান করে টিম সাউদির বলে আউট হন জস বাটলার। ব্য়াট হাতে এদিন দায়িত্ব নিয়ে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন সঞ্জু স্যামসন। বেশে কিছু অনবদ্য শট খেলেন তিনি। করুণ নায়ারকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক। ৯০ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। ১৩ রান করে অনুকুল রয়ের বলে আউট হন করুণ নায়ার। এরপর ক্রিজে আসেন রিয়ান পরাগ। অপরদিকে নিজের শট চালিয়ে যান সঞ্জু স্যামসন। ১১৫ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে রাজস্থানের। ১৯ রান করে টিম সাউদির বলে আউট হন রিয়ান পরাগ। ১১৫ রানেই পঞ্চম উইকেট পড়ে। ৫৪ রানের ইনিংস খেলে শিবম মাভির বলে আউট হন সঞ্জু স্যামসন। এরপর শেষের দিকে রাজস্থানের হয়ে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন শিমরন হেটমায়ার। ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। অশ্বিন অপরাজিত থাকেন ৬ রান করেষ ১৫২-তে থামে রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংস।
রান তাড়া করতে নেমে এদিনও আরও একটি নতুন ওপেনিং জুটি নামায় কেকেআর। অ্যারন ফিঞ্চের সঙ্গে আসেন বাবা ইন্দ্রজিৎ। কিন্তু এই জুটিও ফ্লপ করে। ১৬ রানে পড়ে প্রথম উইকেট। ৪ রান করে কুলদীপ সেনের বলে বোল্ড হন ফিঞ্চ। শ্রেয়স আইয়র ক্রিজে আসেন। ৩২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় নাইটরা। ১৫ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হন বাবা ইন্দ্রজিৎ। এরপর কেকেআরের ইনিংসের রাশ ধরেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়র ও নীতিশ রানা। স্লো পিচে উইকেট না হারিয়ে ধীর গতিতে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড। সেট হওয়ার পর দুজনেই বেশ কিছু আক্রমণাত্মক শট খেলেন। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন শ্রেয়স ও রানা জুটি। অবশেষে ৯২ রানমে ভাঙে জুটি। ৩৪ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন শ্রেয়স আইয়র। এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যান নীতিশ রানা ও রিঙ্ক সিং। এসেই আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলা শুরু করেন রিঙ্কু সিং। বেশ কিছু মারকাটারি শট খেলেন তিনি। দ্রুত গতিতে নিজেদের মধ্য অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন নীতিশ রানা ও রিঙ্কু সিং। শেষ ৩ ওভারে বাকি ছিল ৩১ রান। ৫ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় কেকেআর। ৬০ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপ করেন রানা ও রিঙ্কু। ৩৭ বলে ৪৮ রান ও ২৩ বলে ঝোড়ো ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন নীতিশ রানা ও রিঙ্কু সিং। ৭ উইকেটে ম্য়াচ জিতল কেকেআর। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলে সপ্তম স্থানে উঠে এল শ্রেয়স আইয়রের দল।