আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এ মুখোমুখি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI vs RCB)। প্রথমে ব্যাট করে ১৫১ রান করল রোহিত শর্মার দল। জবাবে ৯ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে জয় পায় ফাফ জুপ্লেসির দল।
ব্যর্থ গেল সূর্যকুমার যাদবের লড়াকু বিধ্বংসী ইনিংস। পাল্টা অনুজ রাওয়াত ও বিরাট কোহলির অনবদ্য ইনিংসে ভর করে আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৭ উইকেটে হারাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। একইসঙ্গে মরসুম হার দিয়ে শুরু করলেও পরপর তিনটি ম্যাচ জিতে জয়ের হ্যাটট্রিক করল ফাফ ডুপ্লেসির দল। অপরদিকে টানা চার ম্যাচ হার রোহিত শর্মার দলের। ম্যাচে প্রথমে ব্য়াট করে ১৫১ রান করে মুম্বই। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন সূর্যকুমার যাদব। এছাড়া ২৬ রান করেন ইশান কিশান ও রোহিত শর্মা। রান তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় আরসিবি। সর্বোচ্চ ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন অনুজজ রাওয়াত ও ৪৮ রান করেন বিরাট কোহলি।
এদিন ব্য়াট হাতে ইনিংসের শুরুটা কিন্তু খুব ভালোই করেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুই তারকা ওপেনার রোহিত শর্মা ও ইশান কিশান। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই সপ্তম ওভারে প্রথম উইকেট পড়ে মুম্বইয়ের। দলের ৫০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৬ রান করে হার্শল প্যাটেলের বলে আউট হন রোহিত শর্মা। রোহিত শর্মা আউটের পর ক্রিজে আসেন ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। কিন্তু ৮ রান করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৬০ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ওয়ানেন্দু হাসরঙ্গার বলে আউট হন বেবি এবি। এরপর দলের ৬২ রানের মাথায়া কার্যত ধস নামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটিং লাইনআপে। প্রথমে ব্যক্তিগত ২৬ রান করে আকাশ দীপের বলে আউট হন ইশান কিশান। এরপর ফর্মে থাকা তিলক ভার্মা খাতা খোলার আগেই রান আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান। এরপর ক্রিজে এসে হাসরঙ্গার প্রথম বলেই আউট হন কায়রন পোলার্ড। ৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে মুম্বইয়ের। ৬ রান করে হার্শল প্যাটেলের শিকার হন রমনদীপ সিং। এরপর একদিকে থেকে একার কাঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। একের পর এক মারকাটারি শট খেলেন তিনি। জয়দেব উনাদকাটকে সঙ্গে নিয়ে ৭২ রানের পার্টনারশিপ করেন সূর্যকুমার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৩৭ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৬টি ছয় ও ৫টি চারে সাজানো তার ইনিংস। ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন উনাদকাট। ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ করে মুম্বই।
১৫২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ছন্দে পাওয়া যায় আরসিবির ব্যাটিং লআইনকে। ওপেনিং জুটিতে ঠান্ডা মাথায় শুরু করে দুই ওপেনার অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি ও অনুজ রাওয়াতকে। উইকেট না হারিয়ে ধীরে ধীরে ক্রিকেটীয় শট খেলে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড। ওপেনিং জুটিতে ৫০ রানের পার্টমারশিপ করেন ফাফ ডুপ্লেসি ও অনুজ রাওয়াত। এরপর প্রথম উইকেট পড়ে আরসিবির। ১৬ রান করে জয়দেব উনাদকাটের বলে আউট হন ডুপ্লেসি। এরপর ক্রিজে আসেন আসেন বিরাট কোহলি। প্রথম থেকেই এদিন ফর্মে পাওয়া যায় বিরাটকে। অনুজ রাওয়াতের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যান স্কোর বোর্ড। দুজনে মিলেই আক্রমণাত্মক শট খেলতে থাকেন। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন রাওয়াত। অপরদিকে পার্টনারশিপের হাফ সেঞ্চুরি করে বিরাট-অনুজ জুটি। অবশেষে ৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়ার পর ভাঙে জুটি। ১৩০ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে আরসিবির। ৬৬ রান করে রান আউট হন অনুজ রাওয়াত। এরপর ক্রিজে আসেন দীনেশ কার্তিক। জয়ের দোরগোড়ায় এসে তৃতীয় উইকেট পড়ে। ৪৮ রান করে ডিওয়াল্ড ব্রেভিসের বলে আউট হন বিরাট কোহলি। ম্যাক্সওয়েল এসে পরপর দুটি চার মেরে খেলা শেষ করেন। কার্তিক অপরাজিত থাকেন ৭ রান করে। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে উঠে এল আরসিবি।