আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এর মেগা ম্য়াচে মুখোমুখি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টস (SRH vs LSG)। প্রথমে ব্য়াট করে ১৬৯ রান করল কেএল রাহুলের দল। রান তাড়া করতে নেমে কেন উইলিয়ামসনের দলের ইনিংস শেষ হয় ১৫৭ রানে।
প্রথমে কেএল রাহুল ও দীপক হুডার অনবদ্য ব্য়াটিং। পরে আভেশ খান, জেসন হোল্ডার, ক্রুণাল পাণ্ডিয়াদের দুরন্ত বোলিং। সেই সুবাদেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১২ রানে হারিয়ে আইপিএল ২০২২-এ টানা দ্বিতীয় জয় পেল লখনউ সুপার জায়ান্টস। অপরদিকে টানা দ্বিতীয় ম্য়াচে হারের মুখ দেখল অরেঞ্জ আর্মি। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অধিনায়কোচিত ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন কেএল রাহুল। ৫১ রানের বিদ্ধংসী ইনিংস খেলেন দীপক হুডা। এছাড়া ১৯ রানের ইনিংস খেলেন আয়ূশ বাদোনি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ওয়াশিংটন, টি নটরাজন ও রোমারিও শেফার্ড। রানতাড়া করতে নেমে সানরাইজার্স ১৫৭ রানে শেষ হয় হায়দরাবাদের ইনিংস। কেন উইলিয়ামসনের দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন রাহুল ত্রিপাঠী। ৩৪ রান করেন নিকোলাস পুরান। লখনউয়য়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন আভেশ খান।
এদিন ব্য়াট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি লখনউ সুপার জায়ান্টসের। ৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে লখনউয়ের। ১ রান করে আউট হন কুইন্টন ডিকক। ১৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ১ রান করে আউট গহন ইভিন লুইস। দলের ২৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১১ রানে আউট হন মনীশ পাণ্ডে। একদিকে থেকে উইকেট পড়লেও দাঁড়িয়েছিলেন অধিনায়ক কেএল রাহুল। এরপর দীপক হুডাকে সঙ্গে নিয়ে পার্টনারশিপ গড়া শুরু করেন রাহুল। দুজনে মিলে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন। দ্রুত গতিতে নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করে ফেলেন হুডা। ৮৭ রানের পার্টনারশিপ করার পর ভাঙে জুটি। ১১৪ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসের। ব্যক্তিগত ৩৩ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন হুডা। এরপর ক্রিজে আসেন আয়ূশ বাদোনি। অপরদিকে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করে রানের গতিবেগ বাড়ানোর চেষ্টা করেন। ১৪৪ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে লখনউয়ের। ৫০ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন কেএল রাহুল। ক্রুণাল পান্ডিয়া ৬ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। ১৫০ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে। এরপর শেষ পর্যন্ত ব্য়াটিং করে লাস্ট বলে রান আউট হন আয়ূশ বাদোনি। ১৯ রান করেন তিনি। ৩ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন জেসন হোল্ডার। ১৬৯ রান করে লখনউ।
রান তাড়া করতে নেমে খুব একটা ভালো শুরু করতে পারেনি সানারাইজার্স হায়দরাবাদ। বড় রান করতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ২৫ পরানে প্রথম উইকেট পড়ে। ১৬ রান করে আউট হন কেন উইলিয়ামসন। অধিনায়কের পেছন পেছন সাজঘরে ফেরত যান অপর ওপেনার অভিষেক শর্মাও। দলের ৩৮ রানের মাথায় ১৩ রান করে আউট হন তিনি। এরপর রাহুল ত্রিপাঠী ও আইডেন মার্করাম মিলে ৪৪ রানের পার্টনারশিপ করেন। বিশেষ করে বেশ কিছু ভালো শট খেলেন রাহুল ত্রিপাঠী। ৮২ রানে অরেঞ্জ আর্মির তৃতীয় উইকেট পড়ে। ১২ রান করে আউট হন মার্কারাম। এরপর নিকোাস পুরান আসেন ক্রিজে। কিন্তু রাহুল ত্রিপাঠি তারপর আর বেশি সময় টিকে থাকতে পারেননি। ৩০ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে দলের ৯৫ রানের মাথায় আউট হন তিনি। এরপর ৪৮ রানের পার্টনারশিপ করেন ওয়াশিংটন সুন্দর ও নিকোলাস পুরান। বেশ কিছু আক্রমণাত্মক শট খেলেন তারা। দলের ১৪৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩৪ রান করে আউট হন পুরান। এরপর এসে খাতা না খুলেই আউট হন আবদুল সামাদ। রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচে শেষ ওভারে বাকি ছিল ১৬ রান। প্রথম বলে আউট হন সুন্দর। ১৫৪ রানে সপ্তম উইকেট পড়ে। সুন্দর করেন ১৮ রান। শেষের দিকে বিগ হিট করতে গিয়ে ১ রান করে আউট হন ভুবনেশ্বর কুমার ও ৮ রান করে আউট হন রোমারিও শেফার্ড। ২০ ওভার ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করে হায়দরাবাদ। ১২ রানে ম্য়াচ জেতে লখনউ। ৪টি উইকেট নেন আভেস খান, ৩টি জেসন হোল্ডার, ২টি ক্রুণাল পান্ডিয়া।