২০১০ সালের লর্ডস টেস্ট তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের ৫টি বছরর কেড়ে নিয়েছিলে। এইবার আচমকাই সেই লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন বাঁহাতি পাক পেসার মহম্মদ আমির। এখন থেকে তিনি শুধু সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই মনোনিবেশ করতে চান।
বিশ্বকাপের আগে খুব একটা ভাল ফর্মে ছিলেন না তিনি। বিশ্বকাপের প্রাথমিক ১৫ জনের দলেও সুযোগ পাননি। কিন্তু একবার সুযোগটা আসতেই তাকে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন। বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে তিনি ১৭টি উইকেট দখল করেছেন। তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টন্টনের পাটা পিচে ৩০ রান দিয়ে ৫ উইকেটও নেন।
২০০৯ সালে এক তরুণ বিস্ময় প্রতিভা হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে আগমন ঘটেছিল তাঁর। অল্প সমের মধ্যেই পাকিস্তানের পরবর্তী জোরে বোলিং তারকা হিসেবে নিজেকে প্রতীষ্ঠা করেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িয়ে ধাক্কা খায় তার কেরিয়ার। সালমান বাট, মহম্মদ আসিফরা আর মাঠে ফিরতে না পারলেও আমির কিন্তু ২০১৬ সালে ফের পাকিস্তানের জার্সিতে মাঠে ফিরে আসেন।
তারপর থেকে মাঝে মাঝে সাফল্যের ঝলক দেখা গেলেও ধারাবাহিকতা কখনই দেখা যায়নি। সব মিলিয়ে ৩৬ ম্যাচে ১১৯ উইকেট নিয়ে টেস্ট কেরিয়ার শেষ করলেন আমির। টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছে ৪ বার। সেরা বোলিং ৪৪ রানে ৬ উইকেট।